পুনে, 12 জুলাই: সময় যত এগোচ্ছে, ততই মহারাষ্ট্রের শিক্ষানবীশ আইএএস পূজা খেড়কড় ও তাঁর পরিবারের নতুন নতুন কীর্তি সামনে আসছে ৷ শুক্রবার তাঁর ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে দু’টি বিষয় সামনে এসেছে ৷ একটি অভিযোগ তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে ৷ দ্বিতীয় অভিযোগটি তাঁর বিরুদ্ধে ৷
এ দিন পুরনো একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে ৷ সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে পূজার মা মনোরমা খেড়কড় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে কয়েকজন হুমকি দিচ্ছেন ৷ তাঁর সঙ্গে কয়েকজন মহিলা বাউন্সারও রয়েছেন ৷ জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের মুন্সি তালুকের ৷ সেখানে 25 একর জমি কেনেন পূজার বাবা দিলীপ খেড়কড় ৷ সেই জমি কেনার পর পাশের কৃষকদের জমি দখলের চেষ্টা করেন তাঁরা ৷
অভিযোগ, কৃষকরা মানতে না চাওয়ায় তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় ৷ সেই হুমকি সংক্রান্ত ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে ৷ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ তবে অভিযোগ, যে কৃষককে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তিনি বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷ পূজার মা মনোরমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে চেয়েছিলেন ওই কৃষক ৷ কিন্তু তাঁকে অভিযোগ দায়ের করতে দেওয়া হয়নি ৷
উল্লেখ্য, 2022 সালের ব্যাচের আইএএস পূজা খেড়কড়কে নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে গত কয়েকদিন ধরে ৷ অভিযোগ, তিনি ওবিসি-র নন ক্রিমি লেয়ারের শংসাপত্র জালিয়াতি করে সংগ্রহ করেছিলেন ৷ ইউপিএসসি-র পরীক্ষার সময়, সেটা তিনি জমা দেন ৷ পরে দেখা যায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ 17 কোটি টাকা ৷ তাঁদের পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ 40 কোটি টাকা ৷ তাছাড়া তিনি কিছু অসুস্থতার কথাও জানিয়েছিলেন, তবে এই সংক্রান্ত মেডিক্যাল টেস্ট তিনি বারবার এড়িয়ে গিয়েছেন ৷
তাঁকে প্রশিক্ষণের জন্য পুনেতে অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয় ৷ কিন্তু তাঁর ‘আবদার’-এ অতিষ্ঠ হয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের শীর্ষস্তরে অভিযোগ জানানো হয় স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ৷ এর পর পূজাকে মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলায় বদলি করা হয় ৷ প্রশিক্ষণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে ৷ পিএমও-র তরফে এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ৷
শুক্রবার পূজার বিরুদ্ধে নতুন একটি অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ সেই অভিযোগ অনুযায়ী, চলতি বছরের 18 মে মহারাষ্ট্রের পানভেল থানা থেকে ডিসিপি বিবেক পানসারেকে ফোন করেন ৷ ফোনে তিনি চুরির অভিযোগে ধৃত ঈশ্বর উত্তরওয়াড়েকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেন ৷
মহারাষ্ট্র পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে পূজা নিজেকে আইএএস বলে দাবি করলেও ডিসিপি এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না ৷ তাছাড়া অভিযোগ থাকায় ওই ব্যক্তিকে ছাড়া হয়নি ৷ সেই ব্যক্তি এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন ৷ এই বিষয়টি নিয়ে ওই ডিসিপি-কে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ৷