মেহবুবাবাদ, 14 ফেব্রুয়ারি: পরিবারের সদস্যদের কারও কারও মৃত্যু হয়েছে ৷ যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁরাও কোনও না কোনও ভাবে অসুস্থ ৷ এরপরই প্রতিবেশীদের উপর সন্দেহ হয় ৷ তারা হয়তো কালাজাদু করছে ৷ সেই সন্দেহের বশেই দু'জনকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার মেহবুবাবাদ জেলায় ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেহবুবাবাদের বোল্লেপল্লি এলাকায় থাকেন শিবরাত্রি কুমারাস্বামী ৷ তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁর ছেলে মৃগীরোগী ৷ স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৷ ভাইয়ের স্ত্রীও হঠাৎ বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৷ পরিবারে এতগুলি ধাক্কায় কুমারাস্বামীর সন্দেহ গিয়ে পড়ে প্রতিবেশী কোমারাইয়া পরিবারের উপর ৷ তারা হয়তো কুমারাস্বামীর বাড়ির কাছে কালাজাদুর কাজকর্ম করছে ৷ আর এই কালাজাদুর জন্যই তাঁর পরিবারের একের পর এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ৷ আর বাকিরাও কোনও না কোনওভাবে অসুস্থ ৷
কুমারাস্বামী সন্দেহের বশেই কুমারাইয়ার স্ত্রী সাম্মাক্কা (60) এবং তাঁর ছেলে সাম্যায়ার (40) উপর মাঝেমধ্যেই চড়াও হত ৷ পাঁচ দিন আগে সাম্যায়া গ্রামের রাস্তায় অটো চালাচ্ছিল ৷ সেই সময় হঠাৎ অটোর সামনে চলে আসে কুমারাস্বামী ৷ তার সঙ্গে অটোর ধাক্কা লাগে ৷ এরপর সাম্যায়া গুডুরু থানায় কুমারাস্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তিনি জানান, কুমারাস্বামী তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে ৷
এরপর মঙ্গলবার কোমারাইয়া, তাঁর স্ত্রী সাম্মাক্কা এবং ছেলে সাম্যায়া, তাঁর স্ত্রী রজিথাকে নিয়ে থানায় যান ৷ পুলিশ জানায়, তারা কুমারাস্বামীকে তলব করবে এবং তাদের সঙ্গে কথা বলবে ৷ কিন্তু কুমারাস্বামী থানায় আসেনি ৷ এদিকে অপেক্ষা করে করে থানা থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কোমারাইয়া পরিবার ৷
অন্যদিকে গুডুরেই কোমারাইয়াদের জন্য অপেক্ষা করছিল কুমারাস্বামী ৷ সে তাদের অটো দেখতে পেয়ে সেটি থামায় ৷ এরপর সাম্যায়াকে ধরে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ৷ তখন কুমারাস্বামীকে আটকাতে যান কোমারাইয়া ৷ সেই সময় কুমারাস্বামী ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে কোমাইয়ার উপর আক্রমণ করে ৷ মারামারিতে তাঁর হাত ভেঙে যায় এবং প্রৌঢ় কোমারাইয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ৷ এরপর কুমারাস্বামী একটি লোহার রড দিয়ে সাম্মাক্কা ও সাম্যায়াকে মারধর করে ৷ তাঁরা দু'জনেই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ৷ রজিথা অটোর পিছন দিকে লুকিয়ে ছিল ৷ স্থানীয়রা কুমারাস্বামীকে ধরে ফেলে এবং একটি ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে দড়ি দিয়ে তাকে বাঁধে ৷ এরপর অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন: