সুরগুজা (ছত্তিশগড়), 24 এপ্রিল: স্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার সম্পত্তি কর’ মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই আক্রমণের পথে নেমেছে বিজেপি ৷ কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ ‘জিন্দেগি কে সাথ ভি, জিন্দেগি কে বাদ ভি’, এলআইসি’র ট্যাগলাইনকে হাতিয়ার করেই আক্রমণ শানিয়েছেন দেশের প্রশাসনিক প্রধান ৷ প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন বলেন, ‘‘দেশ ও সামাজিক মূল্যবোধ থেকে কংগ্রেস এতটাই দূরে সরে গিয়েছে যে আইনত লোকেদের সম্পদ লুট করতে চায় ।’’
কংগ্রেসের ‘সম্পদ পুনর্বন্টন’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে ৷ তার মধ্যেই তাতে কার্যত ঘি ঢেলেছে ভারতীয় ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন স্যাম পিত্রোদার মন্তব্য ৷ একটি সাক্ষাৎকারে পিত্রোদা বলেন, ‘‘উত্তরাধিকার কর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ৷ এটি একটি আকর্ষণীয় ধারণা ।’’ মার্কিন মুলুকের কিছু রাজ্যের উত্তরাধিকার করের ধারণা ব্যাখ্যা করে পিত্রোদা বলেন, ‘‘কারও 100 মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে ৷ যখন তিনি মারা যান তখন সম্ভবত 45 শতাংশ তাঁর সন্তানদের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন ৷ 55 শতাংশ সরকার দখল করে নেয় ৷ এই আইন বলে যে আপনি সম্পদ তৈরি করেছেন ৷ আপনি চলে যাওয়ার (প্রয়াত হওয়ার) সময় অবশ্যই আপনার সম্পদ জনগণের জন্য ছেড়ে দিতে হবে ।’’
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, কংগ্রেসের মন্ত্র হল লুট করা ‘জিন্দেগি কে সাথ ভি, জিন্দেগি কে বাদ ভি’ ৷ একজন বেঁচে থাকা পর্যন্ত, কংগ্রেস আরও কর আরোপ করবে ৷ শুধু তাই নয়, প্রয়াণের পরে আপনার উপর উত্তরাধিকার করের বোঝা চাপিয়ে দেবে । ওরা (কংগ্রেস) আপনার সম্পদ এবং সন্তানদের অধিকার কেড়ে নিতে চায় ৷
এর আগেও 2019 লোকসভা ভোট চলাকালীনই 1984 সালের শিখ হিংসা নিয়েও পিত্রোদার মন্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল ৷ নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, "1984-র শিখ হিংসা প্রসঙ্গে নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির নির্দেশেই শিখদের নির্বিচারে হত্যা করা হয় ।" পালটা স্যাম পিত্রোদা বলে বসেন, "1984 সালে যদি কিছু হয়ে থাকে, তবে হয়েছে তো হয়েছে । তাতে কী ?"
আরও পড়ুন: