কোরিয়া (ছত্তিশগড়), 1 মার্চ: সরকারি হস্টেলের আবাসিক এক নাবালিকার সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে গিয়েছে ছত্তিশগড়ে ৷ ঘটনাটি ওই রাজ্যের বৈকুণ্ঠপুরের কোরিয়া এলাকায় হয়েছে বলে খবর ৷ গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পায় পুলিশ ৷ তদন্তে গিয়ে পুলিশ জানতে সদ্যোজাতকে কবর দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷ ওই নাবালিকা মৃত সন্তানের জন্ম দিয়েছিল, নাকি জন্মের পর সদ্যোজাতকে মেরে ফেলা হয়, সেই বিষয়টি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷
এখনই এই বিষয়ে পুলিশ মুখ খুলতে নারাজ ৷ তবে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সরকারি হস্টেলের আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ পুলিশ জানতে চাইছে, ওই মেয়েটি কতদিন ধরে হস্টেলে রয়েছে ? তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি কবে নজরে আসে ? এই নিয়ে হস্টেলের তরফে উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল কি না !
দেহ উদ্ধার হয় ছত্তিশগড়ের সোনাহাট এলাকায় ৷ ওই থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে৷ পাশাপাশি চরচা থানার পুলিশও তদন্তে নেমেছে ৷ কারণ, সেখানে মেয়েটির বাড়ি ৷ বাড়ির লোকের সঙ্গে পুলিশ কথা বলছে ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে পরিবারের কেউ এই বিষয়টি জানত কি না !
পুলিশের এক আধিকারিক কবিতা ঠাকুর বলেন, ‘‘অল্প বয়সের কারণে ছাত্রীটি বুঝতে না পেরে সন্তান প্রসব করে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে নবজাতকের বয়স কত মাস ।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীর সঙ্গেও কথা বলা হবে ৷ এই ঘটনায় হস্টেলের কেউ জড়িত নাকি বাড়ি এলাকায় কারও সঙ্গে সম্পর্কের জেরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে, সেই বিষয়টি তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন ৷
এদিকে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রাথমিকভাবে জটিলতা তৈরি হয়েছিল ৷ বৈকুণ্ঠপুর জেলা হাসপাতাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ না থাকায় নবজাতকের দেহের ময়নাতদন্ত করা যায়নি । দেহটিকে অম্বিকাপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয় ৷ সেখানে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও রেডিওলজিস্টদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয় ৷
এই নিয়ে বৈকুণ্ঠপুর জেলা হাসপাতাল শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. পল্লবী পাইকরা বলেন, ‘‘আজ পুলিশ একটি দেহ এনেছিল ৷ দেহটি শিশুকন্যার ছিল ৷ সম্পূর্ণ শনাক্তকরণ ও ডিএনএ যাচাইয়ের জন্য আমাদের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন । বর্তমানে আমাদের জেলা হাসপাতালে এই সুবিধা নেই । সেই কারণে আমরা অম্বিকাপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয় ময়নাতদন্তের জন্য ৷’’
আরও পড়ুন: