খান্না, 28 ফেব্রুয়ারি: পারিবারিক বিবাদে দাদাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের সমরালা থানা এলাকায় ৷ দাদাকে খুন করার পাশাপাশি বাবাকেও অভিযুক্ত বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ৷ তাঁকে চণ্ডীগড়ের সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম দলবীর সিং (30) ৷ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ নিহতের নাম জগদীপ সিং উমর (35)৷ আহতের নাম রাম সিং ৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, দলবীর ও জগদীপের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের ৷ এই নিয়ে দুইভাইয়ের মধ্যে বহুবার ঝামেলা হয়েছে ৷ তা স্থানীয় পঞ্চায়েত পর্যন্তও গিয়েছে ৷ রফাও করে দেওয়া হয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে তার পরও সমস্যার সমাধান হয়নি ৷ স্থানীয় বাসিন্দা পারহাত সিং জানান, দুই ভাই আলাদা থাকতেন ৷ বাবা রাম সিং থাকতেন বড় ছেলে জগদীপের সঙ্গে ৷ তার পরও জমি নিয়ে ঝামেলা করতে মাঝেমাঝেই সেখানে চড়াও হতেন দলবীর ৷
এই বিবাদের জেরে দুই ভাইয়ের স্ত্রীরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছেন ৷ তাঁরা সিং পরিবারের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখেন না ৷ স্থানীয়রা আরও জানিয়েছে যে দু’বছর আগে মাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে জগদীপের বিরুদ্ধে ৷ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করে সেই সময় ৷ তার পর থেকে তিনি জেলবন্দি ছিলেন ৷ চার মাস আগে জেল থেকে বাড়ি আসেন জগদীপ ৷ তার পর দুই ভাইয়ের মধ্য়ে ঝামেলা আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ৷
রাম সিং জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়িতে আচমকাই হানা দেয় ছোট ছেলে দলবীর ৷ সে তখন মত্ত অবস্থায় ছিল ৷ বাড়িতে ঢুকেই দাদা জগদীপকে মারধর শুরু করে সে ৷ দাদাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার পর সে বাবার উপর আক্রমণ করে ৷ তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে রাম সিংয়ের দাবি ৷
স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় ৷ সেই খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়৷ উদ্ধার করে জগদীপের রক্তাক্ত দেহ ৷ রাম সিং গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চণ্ডীগড় সরকারি হাসপাতালে ৷ আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ৷ দলবীরকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ তদন্তকারী ও স্থানীয়দের দাবি, নিহত, আহত ও অভিযুক্ত, তিনজনই নেশাগ্রস্ত ছিলেন ৷
আরও পড়ুন: