ETV Bharat / bharat

দিল্লির বসন্তকুঞ্জে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী বাবা ও চার মেয়ে - Father and Daughters Suicide - FATHER AND DAUGHTERS SUICIDE

Fathers along with 4 Daughters Consume Poisonous Substance: চার মেয়েই বিশেষভাবে সক্ষম ৷ কেউ ঠিক করে হাঁটাচলা করতে পারে না ৷ বাবা একটি প্রাইভেট হাসপাতালে কাঠের মিস্ত্রি ৷ মার মৃত্যু হয়েছে ক্যানসারে ৷ এই অবস্থায় পরিবারের পাঁচজনই চরম পথ বেছে নিয়েছে ৷

Father and Daughters died by suicide
বাবা ও চার মেয়ে আত্মঘাতী (প্রতীকী ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 28, 2024, 8:47 AM IST

Updated : Sep 28, 2024, 9:39 AM IST

নয়াদিল্লি, 28 সেপ্টেম্বর: চার মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা ৷ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের রংপুরী গ্রামে ৷ দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, চার মেয়েই বিশেষভাবে সক্ষম ছিল ৷ তাদের মায়ের মৃত্যু হয়েছে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ৷ এই পরিস্থিতিতে বাবা এবং তাঁর চার বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ে- সবাই বিষ জাতীয় কিছু খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে ৷

দেহগুলি থেকে পচনের গন্ধ বের হচ্ছিল ৷ তা এতটাই তীব্র ছিল যে রাস্তার উলটো দিকের দোকান পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল ৷ প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয় ৷ শুক্রবার সকাল 10.18 মিনিট নাগাদ পুলিশ ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে দেহগুলি উদ্ধার করে ৷

পুলিশ দরজা ভেঙে দেখে, একটি ঘরের বিছানায় বাবা একা পড়ে রয়েছেন ৷ আরেকটি ঘরে বিছানায় চার মেয়ের নিথর দেহ রয়েছে ৷ সবাই বিষ জাতীয় কিছু খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ পুলিশের অনুমান, মেয়েদের বিশেষভাবে সক্ষম হওয়া এবং সঙ্গে আর্থিক অনটনের কারণ ৷ সব মিলিয়ে এই চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন বাবা ৷

জানা গিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েরা কেউ ঠিক করে হাঁটাচলা করতে পারত না ৷ বাবার বয়স আনুমানিক 50 বছর ৷ তিনি রংপুরী গ্রামে একটি বাড়ির চারতলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন ৷ আদতে তিনি বিহারের ছাপরা জেলার বাসিন্দা ৷ বসন্ত কুঞ্জ এলাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে কাঠের মিস্ত্রির কাজ করতেন ৷ ব্যক্তিগত জীবনে এত ঝামেলার কারণে তিনি কারও সঙ্গে খুব বেশি কথা বলতেন না ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, কাঠের মিস্ত্রির কাজ করে যে আয় হত তাতে সংসার চালাতে গিয়ে সমস্যায় হচ্ছিল বাবার ৷ কাজে যাওয়ার আগে তিনি চার মেয়েকে খাবার খাইয়ে যেতেন ৷ বাড়ি ফিরে আবার চারজনকে দেখাশোনা করতে হত তাঁকে ৷ মেয়েরা বিছানাতেই থাকত ৷ কেউ হাঁটাচলা করতে পারত না ৷ চার মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের বয়স 18 বছর, তারপর 15 বছর, তার থেকে ছোট মেয়ের 10 বছর এবং একেবারে ছোট মেয়ের বয়স ছিল 8 বছর ৷ পরিবারের সবার ভরণপোষণ নিয়ে আর্থিক টানাটানি চলছিল ৷

শুক্রবার বিকেলে তাঁর ঘর থেকে পচা গন্ধ বেরতে শুরু করে ৷ তখন প্রতিবেশী প্রথমে বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানান ৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর যায় ৷ পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে 5টি দেহ উদ্ধার করে ৷ মনে করা হচ্ছে, বাবা ও তাঁর চার মেয়ে দু'দিন আগে আত্মহত্যা করেছে ৷ প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েগুলির বাবাকে শেষ 24 সেপ্টেম্বর শেষ দেখা গিয়েছিল ৷ ঘর থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেন্সিকের একটি দল ৷ দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷

নয়াদিল্লি, 28 সেপ্টেম্বর: চার মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা ৷ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের রংপুরী গ্রামে ৷ দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, চার মেয়েই বিশেষভাবে সক্ষম ছিল ৷ তাদের মায়ের মৃত্যু হয়েছে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ৷ এই পরিস্থিতিতে বাবা এবং তাঁর চার বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ে- সবাই বিষ জাতীয় কিছু খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে ৷

দেহগুলি থেকে পচনের গন্ধ বের হচ্ছিল ৷ তা এতটাই তীব্র ছিল যে রাস্তার উলটো দিকের দোকান পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল ৷ প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয় ৷ শুক্রবার সকাল 10.18 মিনিট নাগাদ পুলিশ ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে দেহগুলি উদ্ধার করে ৷

পুলিশ দরজা ভেঙে দেখে, একটি ঘরের বিছানায় বাবা একা পড়ে রয়েছেন ৷ আরেকটি ঘরে বিছানায় চার মেয়ের নিথর দেহ রয়েছে ৷ সবাই বিষ জাতীয় কিছু খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ পুলিশের অনুমান, মেয়েদের বিশেষভাবে সক্ষম হওয়া এবং সঙ্গে আর্থিক অনটনের কারণ ৷ সব মিলিয়ে এই চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন বাবা ৷

জানা গিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েরা কেউ ঠিক করে হাঁটাচলা করতে পারত না ৷ বাবার বয়স আনুমানিক 50 বছর ৷ তিনি রংপুরী গ্রামে একটি বাড়ির চারতলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন ৷ আদতে তিনি বিহারের ছাপরা জেলার বাসিন্দা ৷ বসন্ত কুঞ্জ এলাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে কাঠের মিস্ত্রির কাজ করতেন ৷ ব্যক্তিগত জীবনে এত ঝামেলার কারণে তিনি কারও সঙ্গে খুব বেশি কথা বলতেন না ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, কাঠের মিস্ত্রির কাজ করে যে আয় হত তাতে সংসার চালাতে গিয়ে সমস্যায় হচ্ছিল বাবার ৷ কাজে যাওয়ার আগে তিনি চার মেয়েকে খাবার খাইয়ে যেতেন ৷ বাড়ি ফিরে আবার চারজনকে দেখাশোনা করতে হত তাঁকে ৷ মেয়েরা বিছানাতেই থাকত ৷ কেউ হাঁটাচলা করতে পারত না ৷ চার মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের বয়স 18 বছর, তারপর 15 বছর, তার থেকে ছোট মেয়ের 10 বছর এবং একেবারে ছোট মেয়ের বয়স ছিল 8 বছর ৷ পরিবারের সবার ভরণপোষণ নিয়ে আর্থিক টানাটানি চলছিল ৷

শুক্রবার বিকেলে তাঁর ঘর থেকে পচা গন্ধ বেরতে শুরু করে ৷ তখন প্রতিবেশী প্রথমে বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানান ৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর যায় ৷ পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে 5টি দেহ উদ্ধার করে ৷ মনে করা হচ্ছে, বাবা ও তাঁর চার মেয়ে দু'দিন আগে আত্মহত্যা করেছে ৷ প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েগুলির বাবাকে শেষ 24 সেপ্টেম্বর শেষ দেখা গিয়েছিল ৷ ঘর থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেন্সিকের একটি দল ৷ দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷

Last Updated : Sep 28, 2024, 9:39 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.