ভুবনেশ্বর, 15 মার্চ: তিনদিন ধরে স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ আগলে বসে থাকলেন এক ব্যক্তি ৷ দুর্গন্ধ বেরতেই প্রতিবেশীরা পুলিশে অভিযোগ জানালে, সামনে আসে পুরো ঘটনা ৷ অভিযোগ মদ্যপ অবস্থায় ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে কাঠের তক্তা দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছেন ৷ গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে ৷ অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন ৷
ভুবনেশ্বরের তারিণি নগরের বাসিন্দা গোলাখ জেনা এবং তাঁর স্ত্রী রিনা জেনা ৷ পেশায় দু’জনেই শ্রমিকের কাজ করেন ৷ তাঁদের তিন সন্তানও রয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই মদ্যপান করতেন ৷ এমনকি প্রায়ই বাড়িতে অশান্তি চলত তাঁদের ৷ বিশেষত, গোলাখ জেনা বেশি মদ্যপান করতেন ৷ এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবারও দু’জনের রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফেরেন ৷ সেই রাতেও দু’জনের মধ্যে অশান্তিও হয় ৷ কিন্তু, তারপর থেকে তিনদিন সব চুপচাপ ছিল ৷
তবে, এতে বিশেষ কেউ গা করেননি ৷ কিন্তু, আজ সকালে প্রতিবেশীরা হঠাৎই জেনাদের বাড়ি থেকে বিকট দুর্গন্ধ পান ৷ তারা দ্রুত স্থানীয় মৈত্রী বিহার থানায় খবর দেন ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ৷ তারা ঘরে ঢুকে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলা মাটিতে পড়ে আছেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী রিনা জেনার সঙ্গে অশান্তি সময়, তাঁর মাথায় কাঠের তক্তা দিয়ে আঘাত করেন গোলাখ ৷ তবে, একবার নয়, একাধিকবার রিনা জেনাকে কাঠের তক্তা দিয়ে আঘাত করা হয় ৷ তৎক্ষণাত সেখানে মৃত্যু হয় রিনার ৷
পুলিশের কাছে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত গোলাখ জেনা ৷ তবে, স্ত্রীর দেহ ঘরের মধ্যে তিনদিন ধরে ফেলে রাখার ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ মনে করা হচ্ছে, হঠাৎ করে রাগের মাথায় স্ত্রীকে খুন করার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠতে পারেননি গোলাখ ৷ তবে, ঘটনার সময় তাঁদের তিন সন্তান কোথায় ছিল ? তাদের কোনও সাড়া শব্দ কেন পাওয়া যায়নি ? এমন নানান প্রশ্ন উঠছে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন: