নয়াদিল্লি, 27 জানুয়ারি: দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) চার্জশিট গ্রহণ করেছে ৷ একই সঙ্গে, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, কন্যা মিসা ভারতী, হেমা যাদব এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের উদ্দেশে সমন জারি করেছে। পাশাপাশি আদালত ব্যবসায়ী অমিত কাত্যালের জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও জারি করেছে, যিনি বর্তমানে এই মামলায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। বিশেষ বিচারক বিশাল গোগনে আদেশ দেওয়ার সময় বলেছেন, বিচারের জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য 9 ফেব্রুয়ারির দিন ধার্য করেছেন।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যত অস্বস্তি বাড়ল আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের। বিহারে সরকারের টালমাটাল অবস্তার মধ্য়েই লালুর পরিবারের উপর সমস্যা আরও বাড়ল আদালতের নির্দেশে ৷ এর আগে গত 9 জানুয়ারি রেলের জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় প্রথম চার্জশিট দাখিল করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চার্জশিটে নাম ছিল, লালুপ্রসাদের স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের কন্যা মিসা ভারতীর নাম। মিসা বর্তমানে লোকসভার সাংসদ। চার্জশিটে নাম রয়েছে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবার ঘনিষ্ঠ অমিত কাত্যালেরও। গত বছরের নভেম্বরে এই মামলায় অমিত কাত্যালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এছাড়া, চার্জশিটে নাম রয়েছে হিমা যাদব, হৃদয়ানন্দ চৌধুরী এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের। দিল্লিতে এক বিশেষ তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। 16 জানুয়ারি শুনানির জন্য মামলাটি তালিকাভুক্ত করেছিল আদালত।
এরপর এদিন শুনানির পর সেই মামলার চার্জশিটই গ্রহণ করেছে আদালত ৷ উল্লেখ্য, ঘটনার তদন্তে 2022 সালের 20 মে সিবিআই পটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট 15টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এর পর অগস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। ওই বছরের 22 অক্টোবর ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে রাবড়ি, মিসা এবং হেমার নামও ছিল। এ ছাড়াও আরও 12 জনের নাম ছিল সিবিআই চার্জশিটে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। এই মামলায় লালু এবং তাঁর পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধেও তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।
আরও পড়ুন