ETV Bharat / bharat

কেরলের আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার মামলায় হায়দরাবাদে ধৃত চক্রের মাথা - Kerala Kidney Racket Case

Kerala Kidney Racket Case: কেরলের কিডনি পাচার মামলায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল ৷ গত বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের বিজয়ওয়াড়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর ধরে অভিযুক্ত হায়দরাবাদ থেকে এই চক্র চালাচ্ছিল ৷

ETV BHARAT
ধৃত আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারচক্রের মাথা ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 2, 2024, 1:19 PM IST

হায়দরাবাদ, 2 জুন: আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারচক্রের মাথাকে গ্রেফতার করল কেরল পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল ৷ অভিযুক্ত বাল্লামকোন্ডা রামপ্রসাদ ওরফে প্রসাদ বেশ কয়েকবছর ধরে হায়দরাবাদ থেকে এই চক্র চালাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ কেরল কিডনি পাচার মামলায় গত বৃহস্পতিবার প্রসাদকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, এরনাকুলাম গ্রামীণ পুলিশের সুপার তথা তদন্তকারী সিটের প্রধান বৈভব সাক্সেনা ৷

ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কিডনি পাচারচক্রের মাথা প্রসাদ (41) অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার বাসিন্দা ৷ তিনি বেশ কয়েকবছর ধরে হায়দরাবাদে বসবাস করছিলেন ৷ বৃহস্পতিবার তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে কোচি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ গ্রেফতারির সময় অভিযুক্ত প্রসাদ হায়দরাবাদের একটি হোটেলে আত্মগোপন করেছিলেন ৷ জানা গিয়েছে, টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সুস্থ-সবল যুবকদের ইরানে নিয়ে যেত কিডনি বিক্রি করার জন্য ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে কেরল পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল জানতে পারে বাল্লামকোন্ডা রামপ্রসাদ এবং তাঁর সঙ্গী মধু কিডনি পাচারচক্র চালান ৷

তাঁরা মূলত, কেরলের আলুভা থেকে এই কিডনি পাচারচক্র চালাত ৷ মধু এই মুহূর্তে ইরানে রয়েছেন ৷ তাঁর নির্দেশে ভারত থেকে কেরল হয়ে যুবক-যুবতীদের ইরানে পাঠানো হত ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে, সোশাল মিডিয়া থেকে সুস্থ-সবল ছেলে-মেয়েদের খুঁজে বের করা হয় ৷ এরপর তাদের 20 লক্ষ টাকার বিনিময়ে একটি করে কিডনি বিক্রি করার প্রস্তাব দেওয়া হত ৷ এক্ষেত্রে মূলত, সংসারে অভাব রয়েছে বা কোনও সমস্যার মধ্যে চলছেন, এমন ছেলে-মেয়েদের টার্গেট করা হয় ৷ এরপর কেরল হয়ে ইরানে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷

জানা গিয়েছে, যে পরিমাণ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রির জন্য রাজি করানো হত, তার অর্ধেকের কম টাকা দেওয়া হত ৷ এমনকি এই পুরো চক্র চালানোর ক্ষেত্রে রামপ্রসাদ নিজেকে চিকিৎস বলে পরিচয় দিতেন সকলের কাছে ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে 20 জনকে বেঙ্গালুরু, মুম্বই, কেরল, তামিলনাড়ু এবং অন্যান্য জায়গা থেকে ইরানে পাঠানো হয়েছে ৷ তাঁদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ ৷ এই ঘটনাটি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে যখন, সমীর নামে পালাক্কাড থেকে এক যুবককে আটক করা হয় ৷ জানা গিয়েছে, সমীরকে গতমাসে ইরানে পাঠিয়েছিল রামপ্রসাদ ৷

সেই সূত্রে কেরল পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে ৷ তদন্তকারীদের একটি দল গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রামপ্রসাদের উপর নজর রেখেছিল ৷ সে কোথায় যাচ্ছে ? কী করছে ? কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ? এই সব তথ্য সংগ্রহ করছিল ৷ এর পুরোপুরি গোপনে তেলেঙ্গানায় অভিযান চালায় কেরল পুলিশ ৷ এক্ষেত্রে তেলেঙ্গানা বা হায়দরাবাদ কমিশনারেটকে কোনও তথ্য না দিয়েই রামপ্রসাদকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়েছিল সিট ৷ পুরো বিষয়টি গোপন রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সিটের প্রধান বৈভব সাক্সেনা ৷

হায়দরাবাদ, 2 জুন: আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারচক্রের মাথাকে গ্রেফতার করল কেরল পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল ৷ অভিযুক্ত বাল্লামকোন্ডা রামপ্রসাদ ওরফে প্রসাদ বেশ কয়েকবছর ধরে হায়দরাবাদ থেকে এই চক্র চালাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ কেরল কিডনি পাচার মামলায় গত বৃহস্পতিবার প্রসাদকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, এরনাকুলাম গ্রামীণ পুলিশের সুপার তথা তদন্তকারী সিটের প্রধান বৈভব সাক্সেনা ৷

ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কিডনি পাচারচক্রের মাথা প্রসাদ (41) অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার বাসিন্দা ৷ তিনি বেশ কয়েকবছর ধরে হায়দরাবাদে বসবাস করছিলেন ৷ বৃহস্পতিবার তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে কোচি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ গ্রেফতারির সময় অভিযুক্ত প্রসাদ হায়দরাবাদের একটি হোটেলে আত্মগোপন করেছিলেন ৷ জানা গিয়েছে, টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সুস্থ-সবল যুবকদের ইরানে নিয়ে যেত কিডনি বিক্রি করার জন্য ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে কেরল পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল জানতে পারে বাল্লামকোন্ডা রামপ্রসাদ এবং তাঁর সঙ্গী মধু কিডনি পাচারচক্র চালান ৷

তাঁরা মূলত, কেরলের আলুভা থেকে এই কিডনি পাচারচক্র চালাত ৷ মধু এই মুহূর্তে ইরানে রয়েছেন ৷ তাঁর নির্দেশে ভারত থেকে কেরল হয়ে যুবক-যুবতীদের ইরানে পাঠানো হত ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে, সোশাল মিডিয়া থেকে সুস্থ-সবল ছেলে-মেয়েদের খুঁজে বের করা হয় ৷ এরপর তাদের 20 লক্ষ টাকার বিনিময়ে একটি করে কিডনি বিক্রি করার প্রস্তাব দেওয়া হত ৷ এক্ষেত্রে মূলত, সংসারে অভাব রয়েছে বা কোনও সমস্যার মধ্যে চলছেন, এমন ছেলে-মেয়েদের টার্গেট করা হয় ৷ এরপর কেরল হয়ে ইরানে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷

জানা গিয়েছে, যে পরিমাণ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রির জন্য রাজি করানো হত, তার অর্ধেকের কম টাকা দেওয়া হত ৷ এমনকি এই পুরো চক্র চালানোর ক্ষেত্রে রামপ্রসাদ নিজেকে চিকিৎস বলে পরিচয় দিতেন সকলের কাছে ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে 20 জনকে বেঙ্গালুরু, মুম্বই, কেরল, তামিলনাড়ু এবং অন্যান্য জায়গা থেকে ইরানে পাঠানো হয়েছে ৷ তাঁদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ ৷ এই ঘটনাটি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে যখন, সমীর নামে পালাক্কাড থেকে এক যুবককে আটক করা হয় ৷ জানা গিয়েছে, সমীরকে গতমাসে ইরানে পাঠিয়েছিল রামপ্রসাদ ৷

সেই সূত্রে কেরল পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে ৷ তদন্তকারীদের একটি দল গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রামপ্রসাদের উপর নজর রেখেছিল ৷ সে কোথায় যাচ্ছে ? কী করছে ? কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ? এই সব তথ্য সংগ্রহ করছিল ৷ এর পুরোপুরি গোপনে তেলেঙ্গানায় অভিযান চালায় কেরল পুলিশ ৷ এক্ষেত্রে তেলেঙ্গানা বা হায়দরাবাদ কমিশনারেটকে কোনও তথ্য না দিয়েই রামপ্রসাদকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়েছিল সিট ৷ পুরো বিষয়টি গোপন রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সিটের প্রধান বৈভব সাক্সেনা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.