রাঁচি, 5 ফেব্রুয়ারি: ইডি হেফাজতে হেমন্ত সোরেন ৷ রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দিনকয়েক আগে শপথ নিয়েছেন চম্পাই সোরেন ৷ তবে বিধানসভায় ভোটের মধ্যে দিয়ে আস্থা অর্জন করতে হবে তাঁকে ৷ সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সেই আস্থাভোটের আগে ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা করেছিল জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ৷ তাই বিধায়কদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল হায়দরাবাদে ৷
তবে আস্থাভোটের আগের রাতে নিজামের শহর থেকে ফের রাঁচিতে ফিরলেন জোট বিধায়করা ৷ চম্পাই সোরেনের নেতৃত্বে জোট সরকার যদিও সোমবার বিধানসভায় আস্থা অর্জনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ৷ রবিবার বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দরে চার্টার বিমানে অবতরণ করেন জোটের বিধায়কেরা ৷ এরপর দু'টি বাসে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় সার্কিট হাউজে ৷
মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের সঙ্গে নয়া মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া কংগ্রেস নেতা আলমগির আলম বলেন, "আমাদের বিধায়কেরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে ৷ 48-50 জনের সমর্থন আমাদের সঙ্গে রয়েছে ৷" জেএমএম বিধায়ক মিথিলেশ ঠাকুর আবার একধাপ এগিয়ে দাবি করেন যে, বেশ কিছু বিজেপি বিধায়কের সমর্থনও জোটের পক্ষে রয়েছে ৷ যদিও বিজেপি বলছে, আস্থাভোটে জোটের পতন নিশ্চিত ৷ পরাজয় নিশ্চিট জেনেই বিধায়কদের ভিনরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিজেপির চিফ হুইপ বিরাঞ্চি নারায়ণ ৷
81 আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা অর্জনের জন্য জোটের চাই জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোটের চাই 41টি ভোট ৷ সবমিলিয়ে দাবি, পালটা-দাবির মধ্যে সোমবার বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস, আরজেডি'র জোট (47 জন বিধায়ক) আস্থা অর্জনে সক্ষম হয় কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল ৷ পাঁচদিনের ইডি হেফাজতে থাকলেও বিশেষ আদালতের নির্দেশ এদিন আস্থাভোটে অংশ নেবেন হেমন্ত সোরেনও ৷
আরও পড়ুন: