বালোদাবাজার/সারনগড়-বিলাইগড়, 19 মে: ছত্তিশগড়ে একই পরিবারের পাঁচজনকে খুনের পর নিজে আত্মঘাতী হয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক ৷ এই ঘটনায় এবার উঠে এল নয়া তথ্য ৷ প্রাথমিকভাবে বিষয়টি প্রেমঘটিত কারণে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে । গ্রামবাসীর অভিযোগ, বান্ধবীর বিয়েতে ক্ষিপ্ত হয়ে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটিয়েছে ওই যুবক ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মনোজ ওরফে পাপ্পু পেশায় একজন দর্জি ছিলেন ৷ মৃত পরিবারের মেয়ে মীরাকে মনোজ ভালোবাসতেন । তিনি বহু বছর আগে মীরাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন মীরা । পরে পরিবারের তরফে মীরার অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় ৷ অভিযোগ, এরপর থেকেই মনোজ মীরার পরিবারকে উত্তক্ত করতে থাকে ৷ 2017 সালে মীরা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগে মনোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয় । এই মামলার শুনানি চলছে আদালতে । এরই মধ্যে প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পুরনো রাগ থেকে মনোজ মীরা-সহ তাঁর পুরো পরিবারকে খুন করে পরে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ । বর্তমানে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে ।
সারানগড় বিলাইগড়ের এসপি পুষ্কর শর্মা বলেন, "একটি বাড়ি থেকে পাঁচটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে । সবাই একই পরিবারের সদস্য । পাশের বাড়ি থেকে আরও একজনের দেহ পাওয়া গিয়েছে । বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।"
পুলিশ সূত্রে খবর, মনোজ কুড়ুল নিয়ে ঘরে ঢুকে প্রতিবেশী একই পরিবারের পাঁচজনকে প্রথমে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে খুন করে এবং পরে শাড়ির সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে নিজেও আত্মঘাতী হয় । সারানগড় বিলাইগড়ের এসপি পুষ্কর শর্মা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের নাম হেমলাল সাহু (55), তাঁর স্ত্রী জগমতি সাহু (50), তাঁদের মেয়ে মীরা সাহু (30) এবং মমতা সাহু (35) । মীরা সাহুর পাঁচ বছরের ছেলে আয়ুশের দেহ অন্য ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল । ঘটনাটি ঘটেছিল ছত্তিশগড়ের সালিহা থানা এলাকার বালোদা বাজার সংলগ্ন সারানগড়ে ৷ এই হত্যাকাণ্ডের পর গোটা এলাকায় আতঙ্ক রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: