রাঁচি, 1 ফেব্রুয়ারি: ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-সহ শাসক জোটের সমস্ত বিধায়ককে চার্টার বিমানে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। যদিও সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিল ঘন কুয়াশা ৷ ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা রুখতে বৃহস্পতিবার রাতেই শাসক জোটের বিধায়কদের নিয়ে বিমান হায়দরাবাদ যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল ৷ সেই বিশেষ বিমান অবশ্য হায়দরাবাদের উদ্দেশে যেতে পারল না ৷ ফের রাঁচি বিরসা-মুণ্ডা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় বিধায়কদের ৷ কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, কম দৃশ্যমানতার কারণেই ওই বিমান যাত্রা করতে পারেনি।
এদিন সন্ধ্যা থেকেই শাসকদলের বিধায়কদের হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোর শুরু হয় ৷ ঝাড়খণ্ড সার্কিট হাউস থেকে সমস্ত বিধায়ক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনাও হয় ৷ রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোট বিধায়কদের হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাঁচি বিমানবন্দরে দুটি চার্টার্ড বিমান রাখা হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে ৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই বিমান হায়দরাবাদ যেতে পারেনি ৷ যদিও কংগ্রেস বিধায়ক আম্বাপ্রসাদ বলেন, “ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়নি, সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। 40 জনেরও বেশি সদস্য (জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোটের) ফ্লাইটে ছিলেন ৷”
প্রসঙ্গত, এদিন বিকেলেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন জেএমএম বিধায়করা ৷ চম্পাই সোরেনের নেতৃত্বে জেএমএম বিধায়করা রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণনের কাছে সরকার গঠনের জন্য দাবি জানিয়েছেন ৷ চম্পাই সোরেনের দাবি, রাজ্যপাল তাঁদের আমন্ত্রণ জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন ৷ সূত্রের খবর, এদিন রাঁচি থেকে 43 জন জেএমএম সাংসদকে হায়দরাবাদ নিয়ে আসা হচ্ছে ৷
অন্যদিকে, জেএমএম সাংসদ মহুয়া মাঝি এদিন বলেন, "হেমন্ত সোরেন পদত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সরকার গঠনের দাবি পেশ করেছি ৷ 43 জন বিধায়ক একটি বাসে করে রাজভবনও গিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যদিও একইভাবে বিহারে নতুন সরকার গঠন করা হয়েছিল। 22 ঘন্টা পরেও যখন সব দলের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন, তখনও সরকার গঠনের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি ৷ সময় বা আর কোনও তথ্যও তাদের দেওয়া হয়নি ৷ সুতরাং তাঁর (রাজ্যপাল) উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: