কোটা, 4 জুলাই: ফের পড়ুয়ার আত্মহত্য়ার খবর মিলল রাজস্থানের কোটা থেকে ৷ 16 বছর বয়সী ওই পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভরতি হওয়ার জন্য সেখানে পড়াশোনা করতে গিয়েছিল ৷ যেখানে সে পিজি হিসেবে থাকত, সেখানকার ঘর থেকেই বৃহস্পতিবার তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই নিয়ে 13 জন পড়ুয়া কোটায় আত্মঘাতী হল ৷ 2023 সাল থেকে হিসেব করলে 26 জন পড়ুয়া কোটায় আত্মঘাতী হয়েছে ৷
বৃহস্পতিবার যার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, তার নাম সন্দীপ কুমার কুরমি ৷ সে বিহারের নালান্দা জেলার বাসিন্দা ৷ দু’বছর আগে সে রাজস্থানের এই শহরে আসে ৷ সেখানকার তিন নম্বর মহাবীর নগরে সে একটি পিজিতে থেকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ৷ এ দিন সকাল 7টা নাগাদ সন্দীপের এক সহপাঠী ঘরের বাইরে জানলা দিয়ে প্রথম তার ঝুলন্ত দেহ দেখে ৷ তার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ৷
ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাবীর নগর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ খবর দেওয়া হয়েছে মৃতের পরিবারকে ৷ কোনও সুইসাইড নোট ওই ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি ৷ ফলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে পুলিশ এখনও সন্দিহান ৷ সন্দীপের দাদা সঞ্জিতও কোটায় থাকে ৷ সে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ৷ সে দাদাবাড়ি এলাকায় পিজি থাকে ৷ পুলিশ তাকেও এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ৷
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, সন্দীপ ও সঞ্জিতের মা-বাবা চার বছর আগে মারা যান ৷ তার পর তাদের পড়াশোনার খরচ সামলাচ্ছিলেন কাকা ৷ কিন্তু সন্দীপ পড়াশোনায় তেমন ভালো ছিলে না ৷ নিয়মিত ক্লাসও সে করত না ৷ সেই কারণেই এই আত্মহত্যা কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
এদিকে কোটায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যা রুখতে সমস্ত পিজি-কে সিলিং ফ্যানে অ্যান্টি-সুইসাইড ডিভাইস লাগাতে বলেছিল পুলিশ ৷ সন্দীপ যে ঘরে ছিল, সেই ঘরের সিলিং ফ্যানে এমন কোনও ডিভাইস ছিল না বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে ৷ সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে ৷
