নয়াদিল্লি, 8 অক্টোবর: দৃশ্য 1- 2019 সালের 5 অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে এবং লেহ-লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গঠনের কথা ঘোষণা করে মোদি সরকার।
দৃশ্য 2- 2024 সালের 8 অক্টোবর বড় ব্যবধানে জিতল বিরোধীরা। আসন বেশ খানিকটা বাড়ালেও ক্ষমতার বাইরে থাকতে হচ্ছে বিজেপিকে।
বুধফেরত সমীক্ষায় বেশ কয়েকটি সংস্থা বলেছিল জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হতে চলছে। সেই পথে হাঁটেনি উপত্যকা। রাজনৈতিক মহলের প্রত্যাশামতো জম্মুতে বিজেপির ফল ভালো হয়েছে। তাদের 29টি আসনই এসেছে জম্মু থেকে ৷ অন্যদিকে, কাশ্মীরে দাপট দেখাল জোট। 42টি আসন পেল এনসি । কংগ্রেসের পক্ষে গিয়েছে মাত্র 6টি আসন ৷ নির্বাচনে লড়ে এই প্রথম উপত্যকায় আসন পেল আপ।
These elections in Jammu and Kashmir have been very special. They were held for the first time after the removal of Articles 370 and 35(A) and witnessed a high turnout, thus showing the people’s belief in democracy. I compliment each and every person of Jammu and Kashmir for…
— Narendra Modi (@narendramodi) October 8, 2024
নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, 370 ধারা বিলোপের পর এই প্রথম ভোট হল কাশ্মীরে । প্রতিটি ধাপেই আমরা দেখেছি, বহু মানুষ ভোট দিয়েছেন । আমি কাশ্মীরের প্রতিটি ভোটারকে ধন্যবাদ জানাই।
পাশাপাশি মেহেবুবা মুফতির পিডিপি পেয়েছে 3টি আসন। ডোডা আসন থেকে জিতেছেন আপ প্রার্থী। উপত্যকার এই জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে জয় পেয়েও বিজেপির তোপের মুখে পড়েছে এনসি ও কংগ্রেস জোট । জোটের 48 জনের মধ্যে হিন্দু বিধায়কের সংখ্যা মাত্র 2। এই কারণেই সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে জয়ী জোটকে।
গতবারের থেকে বিজেপির ফল ভালো হয়েছে। 2014 সালে পিডিপির সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। তারা পেয়েছিল 25টি আসন। এবার তাঁদের আসন সংখ্যা খানিকটা বেড়ে হয়েছে 29 ৷ অন্যদিকে, জোটের হাত ধরে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেসের আসন সংখ্যা গতবারের তুলনায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। গতবার 12 আসন পাওয়া কংগ্রেসের ঝুলিতে এবার এসেছে 6টি।
খুশি নির্বাচন কমিশন
গত কয়েকদশকে বারবার নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গির সংঘর্ষ দেখা জম্মু ও কাশ্মীরের সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনকে ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জয় হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার। পাশাপাশি গণতন্ত্রের প্রতি সাধারণ মানুষের এই আস্থা উপত্যকাকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন তিনি।
কে কী বলছেন ?
নির্বাচনে জয়ের পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এনসি নেতা ফারুক আবদুল্লা থেকে শুরু করে ওমর আবদুল্লা ৷ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মতো নেতা-নেত্রীরাও ৷ ফারুক জানান, তাঁদের লক্ষ্য বেকারত্ব দূর করা। পাশাপাশি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা। অন্যদিকে, ভোটারদের ধন্যবাদ দিয়েছেন আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা । তিনি জানান, এবার মানুষের প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্ব আমাদের। পাশাপাশি ভোটারদের রায় মেনে নিয়েছেন মেহবুবা মুফতিও। তিনি এনসি এবং কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ভোটের রায় থেকে স্পষ্ট মানুষ স্থায়ী সরকার গড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।