চণ্ডীগড়, 25 ফেব্রুয়ারি: রবিবার ঝাজ্জর জেলায় অজ্ঞাত পরিচয় হামলাকারীরা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের (আইএনএলডি) হরিয়ানার সভাপতি নাফে সিং রাঠে এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে হত্যা করেছে। নাফে সিং রাঠি প্রাক্তন বিধায়কও বটে ৷ জানা গিয়েছে, এদিন হামলার সময় এসইউভিতে ছিলেন রাঠে ৷ অন্য একটি গাড়িতে থাকা আততায়ীরা বাহাদুরগড় শহরের বারাহি গেটের কাছে তাঁর উপর চড়াও হয় ৷ এনএলডি নেতা অভয় চৌটলা জানিয়েছেন, ঝাজ্জর জেলায় নাফে সিং রাঠেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, নাফে সিং রাঠেকে এর আগে একাধিকবার হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও সরকার তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ৷ একইসঙ্গে এনএলডি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন।
সূত্রের খবর, হামলাকারীরা একটি আই-10 গাড়িতে আসে ৷ রাঠি যে এসইউভি-তে ছিলেন ঠিক তার পাশে এসে খুব কাছ থেকে গুলি চালায় ৷ হামলায় রাঠে এবং তাঁর এক নিরাপত্তা কর্মীও নিহত হন ৷ অন্য দু'জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। আহতদের বাহাদুরগড়ে ব্রহ্মশক্তি সঞ্জীবনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সঞ্জীবনী হাসপাতালের চিকিৎসক মণীশ শর্মা জানিয়েছেন, নাফে সিং রাঠে এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর শরীরে একাধিক গুলির আঘাতের চিহ্ন মিলেছে ৷ মনীশ শর্মা বলেন, "ঘটনায় আরও দু'জন গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে ৷ চিকিৎসা চলছে।"
হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র হুডা নাফে সিং রাঠের হত্যায় শোকপ্রকাশ করেছেন। ভূপেন্দ্র হুডা এক্স-হ্য়ান্ডেলে লিখেছেন, "হরিয়ানায় এনএলডি রাজ্য সভাপতি নাফে সিং রাঠিকে গুলি করে হত্যা করার খবর খুবই দুঃখজনক। এটি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে প্রতিফলিত করে। এই ঘটনাটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। কেউ নিরাপদ বোধ করছে না রাজ্যে। আমার শ্রদ্ধা এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি হামলায় আহত নিরাপত্তা কর্মীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি ৷"
এনএলডি নেতা অভয় চৌটলা জানান, রাঠি সম্প্রতি তাঁর উপর হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা চেয়েছিলেন ৷ তিনি বলেন, "রাজ্য সভাপতি এবং প্রাক্তন বিধায়ক নাফে সিংজি আর নেই ৷ তাঁর উপর কাপুরুষোচিত আক্রমণে সমগ্র আইএনএলডি পরিবার হতবাক ৷ নাফে সিং কেবল আমাদের দলেরই অংশ ছিলেন না, আমাদের পরিবারেরও অংশ ছিলেন ৷ নাফে সিং সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিজিপি এবং কমিশনারের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেছিলেন, তাঁর উপর হামলার ভয়ে। সেই সময়ে সরকার রাজনীতি করেছিল ৷ নিরাপত্তা দেয়নি। সরকার এতে সমানভাবে দোষী ৷” এই বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সুপার অর্পিত জৈন বলেন, "আমরা হামলার তথ্য পেয়েছি। এসটিএফ-এর বিশেষ টিম কাজ করছে। অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।"
আরও পড়ুন: