নয়াদিল্লি, 27 ফেব্রুয়ারি: "মানবিক সংকটের স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, যাতে মানুষ দ্রুত রেহাই পায়", রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পর্ষদের 55তম সেশনে গাজায় যুদ্ধ প্রসঙ্গে বললেন দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ তিনি আরও জানান, জঙ্গি হামলা এবং অপহরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় ৷
গত বছরের 7 অক্টোবর ইজরায়েলে জঙ্গি হামলা চালায় হামাস গোষ্ঠী ৷ তারপরেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধ ঘোষণা করেন ৷ নয়াদিল্লি থেকেই রাষ্ট্রসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেন জয়শঙ্কর ৷ তিনি জানান, মানবাধিকার রক্ষার আইনকে সবসময় শ্রদ্ধা করতে হবে ৷
ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর আরও বলেন, "এই যুদ্ধ যেন দেশের মধ্যে বা তার সীমা ছাড়িয়ে চারদিকে আরও ছড়িয়ে না-পড়ে ৷ দু'টি রাষ্ট্রের সমাধান প্রয়োজন, যেখান প্যালেস্তাইনের মানুষরাও ইজরায়েলের মধ্যেই থাকতে পারবে ৷" এর আগে মিউনিখে সিকিওরিটি কনফারেন্সেও প্যালেস্তাইন নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "ভারত দীর্ঘ সময় ধরে দু'টি রাষ্ট্রের সমাধানের কথা বলে এসেছে ৷ আমরা দশকের পর দশক ধরে এই অবস্থানেই অনড় রয়েছি ৷ আর এখন বিশ্বের আরও অনেক দেশই এই দু'টি রাষ্ট্রের সমাধানে কথাই বলছে ৷ আর এটা দিনে দিনে আরও জরুরি হয়ে পড়ছে ৷"
হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের যুদ্ধ এখনও চলছে ৷ 7 অক্টোবরের হামলায় ইজরায়েলে 1 হাজার 200 জনকে হত্যা করা হয়েছিল ৷ এছাড়া অন্য 220 জনকে অপহরণ করেছিল হামাস বাহিনী ৷ পরে তাদের কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ এদিকে ইজরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় প্রায় 30 হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ এই যুদ্ধের প্রথম থেকেই আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে ৷ তবে এই মুহূর্তে ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধে বিশ্বের দেশগুলি দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে ৷ কোনও কোনও দেশ ইজরায়েলকে সমর্থন করলেও, বহু দেশই প্যালেস্তাইনের পক্ষে রয়েছে ৷ সোমবারই ওয়াশিংটনে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসেসের এক কর্মী আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ৷
আরও পড়ুন: