নয়াদিল্লি, 25 নভেম্বর: সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে চেয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন ইন্ডিয়া শিবিরের নেতারা । 1949 সালের 26 নভেম্বর গৃহীত হয় ভারতীয় সংবিধান। এবার তার 75 বছর। এই উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সংসদে। তাতে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন বলে ঠিক হয়েছে। তালিকায় বিরোধী দলের কারও নাম নেই। এবার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে চেয়ে চিঠি দিল বিরোধী শিবির।
সংবিধান সদন মানে পুরনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হল মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠান হবে । সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । তাঁর বক্তব্য দিয়েই শুরু হবে অনুষ্ঠান। বিরোধীদের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, "আমরা বিশ্বাস করি সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে সম্মান জানাতে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাদেরও বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া উচিত।"
স্পিকারকে লেখা চিঠিতে সই করেছেন টিআর বালু, ত্রিচি শিবা, কানিমোঝি, সুপ্রিয়া সুলে, রাঘব চাড্ডা, ইটি মহম্মদ বশির, পি রাধাকৃষ্ণন, রামজি লাল সুমান-সহ আরও কয়েকজন বিরোধী নেতা। তবে তৃণমূলের কারও সই নেই চিঠিতে । অধিবেশন শুরুর আগে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা মল্লিকার্জুন খাড়গের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিরোধী শিবিরের নেতারা ৷ সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । অন্যদিকে, সরকারি তরফে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে ৷ প্রথমত, শুধু মঙ্গলবারই নয় সারা বছর ধরেই একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । তার জন্যও একটি ওয়েবসাইটও চালু করেছে ভারত সরকার।
এদিকে, সোমবার একাধিক ইস্যুতে বিরোধী সদস্যদের হট্টগোলের জেরে লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশনের প্রথম দিনে কোনও কাজ হল না । বিরোধীদের গোলমালের জেরে একাধিকবার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি আদানি-ইস্যুতে আলোচনা দাবি করে । অভিযোগ, সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের বরাদ পেতে ভারতীয় আধিকারিকদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান গৌতম আদানি-সহ কয়েকজন। তাঁদের বিরুদ্ধে আমেরিকার একটি আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। এদিন কোনও কাজ না-হওয়ায় বুধবার ফের বসবে সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।