ETV Bharat / bharat

3 বছরে 15টি সরকারি চাকরি পেয়ে তাক লাগালেন মধুসূদন, কীভাবে জেনে নিন - Government Jobs

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 3, 2024, 12:24 PM IST

Hyderabad Boy Gets 15 Govt Jobs: 3 বছরে 15টি সরকারি চাকরি পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন রামাওয়াত মধুসূদন ৷ জানালেন, অদম্য় প্রচেষ্টার ফলেই এই সফলতা পেয়েছেন তিনি ৷

Hyderabad Boy Gets 15 Jobs
রামাওয়াত মধুসূধন

হায়দরাবাদ, 3 এপ্রিল: বর্তমানে যুবক-যুবতিদের শিক্ষাগত যোগ্য়তায় রয়েছে একাধিক ডিগ্রির পালক ৷ স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়ার লক্ষ্য়ে বিভিন্ন নামি দামি কোচিং সেন্টারে পড়ার সুযোগও রয়েছে তাঁদের ৷ অথচ একের পর এক পরীক্ষা, দুশ্চিন্তার পরেও অনেকের অধরাই থেকে যায় সফলতা ৷ অনেকে অবশ্য় সেই সফলতা পায় 4-5 বছর পর ৷ তবে এই সমস্ত দুশ্চিন্তাকে কার্যত এক পলকে জয় করেছেন রামাওয়াত মধুসূধন ৷ 3 বছরে 15টি সরকারি চাকরি পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি ৷

গত সোমবার আইবিপিএস-এর রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে ৷ সেই তালিকায় প্রোবেশনারি অফিসার পোস্টে নাম রয়েছে হায়দরাবাদের সূর্য্য়পেট জেলার নেরেদুচারলা এলাকার বাসিন্দা রামাওয়াত মধুসূদনের ৷ তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে আইবিপিএস, আরআরবি এবং এসবিআই-এর প্রোবেশনারি অফিসার পোস্টে চাকরি পান তিনি ৷ এলআইসি, এএও, এনআইএসিএল এও, জেনারেল ইনসুরেন্স কর্পোরেশনের অ্য়াসিস্টেন্ট ম্য়ানেজর পোস্টেও চাকরি হাত লেগেছে তাঁর ৷ তবে চাকরি পাওয়ার তালিকায় রয়েছে আরও বেশকিছু সরকারি চাকরি ৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে এত চাকরি তিনি পেলেন কী করে?

মধুসূদনের বাবা পান্ডু একজন চাষি ৷ মা নাগামণি স্কুলের সহকারি হিসেবে কাজ করেন। পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা ও মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি সফলতা অর্জন করেছেন বলে জানান রামাওয়াত ৷ 2020 সালে বি.টেক-এ 60 শতাংশ নম্বর পেয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি ৷ লক্ষ্য় ছিল সরকারি চাকরি পাওয়া ৷ সেই মতো পড়াশোনা শুরু করেন ৷ এক বছর ব্যাংকের চাকরির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। প্রথম চেষ্টায় সফলতা না-পেলেও হাল ছাড়েননি তিনি ৷ অবশ্যই সফল হবেন এই বিশ্বাস নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন রামাওয়াত ৷

কোর্স শেষ করার পর তিনি প্রস্তুতি নেন এবং পরীক্ষা দেন ৷ এর পরে আইবিপিএস, এবং এসবিআই-সহ অনেক ব্যাংক থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল । পরীক্ষা দেন তিনি ৷ প্রথমে ক্লার্ক এবং পরে অফিসার ক্যাডারের চাকরি পান । এর পরে তিনি এসবিআই পিও (কর্ণাটক) হিসাবে নির্বাচিত হন এবং চাকরিতে যোগ দেন । পরে যখন তেলেঙ্গানায় গ্রুপ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, তখন তিনি সেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেন এবং আবার প্রস্তুতি শুরু করেন ৷

মধুসূদন জানান, কর্মস্থল ও সেখানকার আবহাওয়া এবং অনান্য কারণে তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও চাকরিতে যোগ দেননি। বর্তমানে স্টাফ সিলেকশন কমিশন-এর জন্য় প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি ৷ এই প্রসঙ্গে মধুসূদন বলেন, "দিলসুখনগরের কোচিং সেন্টারে ক্রমাগত পরীক্ষা দিয়ে এই সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে । আমি আত্মবিশ্বাসী, এসএসসি সিজিএল চাকরি পাব । আমি এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি ৷"

আরও পড়ুন:

হায়দরাবাদ, 3 এপ্রিল: বর্তমানে যুবক-যুবতিদের শিক্ষাগত যোগ্য়তায় রয়েছে একাধিক ডিগ্রির পালক ৷ স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়ার লক্ষ্য়ে বিভিন্ন নামি দামি কোচিং সেন্টারে পড়ার সুযোগও রয়েছে তাঁদের ৷ অথচ একের পর এক পরীক্ষা, দুশ্চিন্তার পরেও অনেকের অধরাই থেকে যায় সফলতা ৷ অনেকে অবশ্য় সেই সফলতা পায় 4-5 বছর পর ৷ তবে এই সমস্ত দুশ্চিন্তাকে কার্যত এক পলকে জয় করেছেন রামাওয়াত মধুসূধন ৷ 3 বছরে 15টি সরকারি চাকরি পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি ৷

গত সোমবার আইবিপিএস-এর রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে ৷ সেই তালিকায় প্রোবেশনারি অফিসার পোস্টে নাম রয়েছে হায়দরাবাদের সূর্য্য়পেট জেলার নেরেদুচারলা এলাকার বাসিন্দা রামাওয়াত মধুসূদনের ৷ তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে আইবিপিএস, আরআরবি এবং এসবিআই-এর প্রোবেশনারি অফিসার পোস্টে চাকরি পান তিনি ৷ এলআইসি, এএও, এনআইএসিএল এও, জেনারেল ইনসুরেন্স কর্পোরেশনের অ্য়াসিস্টেন্ট ম্য়ানেজর পোস্টেও চাকরি হাত লেগেছে তাঁর ৷ তবে চাকরি পাওয়ার তালিকায় রয়েছে আরও বেশকিছু সরকারি চাকরি ৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে এত চাকরি তিনি পেলেন কী করে?

মধুসূদনের বাবা পান্ডু একজন চাষি ৷ মা নাগামণি স্কুলের সহকারি হিসেবে কাজ করেন। পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা ও মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি সফলতা অর্জন করেছেন বলে জানান রামাওয়াত ৷ 2020 সালে বি.টেক-এ 60 শতাংশ নম্বর পেয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি ৷ লক্ষ্য় ছিল সরকারি চাকরি পাওয়া ৷ সেই মতো পড়াশোনা শুরু করেন ৷ এক বছর ব্যাংকের চাকরির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। প্রথম চেষ্টায় সফলতা না-পেলেও হাল ছাড়েননি তিনি ৷ অবশ্যই সফল হবেন এই বিশ্বাস নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন রামাওয়াত ৷

কোর্স শেষ করার পর তিনি প্রস্তুতি নেন এবং পরীক্ষা দেন ৷ এর পরে আইবিপিএস, এবং এসবিআই-সহ অনেক ব্যাংক থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল । পরীক্ষা দেন তিনি ৷ প্রথমে ক্লার্ক এবং পরে অফিসার ক্যাডারের চাকরি পান । এর পরে তিনি এসবিআই পিও (কর্ণাটক) হিসাবে নির্বাচিত হন এবং চাকরিতে যোগ দেন । পরে যখন তেলেঙ্গানায় গ্রুপ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, তখন তিনি সেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেন এবং আবার প্রস্তুতি শুরু করেন ৷

মধুসূদন জানান, কর্মস্থল ও সেখানকার আবহাওয়া এবং অনান্য কারণে তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও চাকরিতে যোগ দেননি। বর্তমানে স্টাফ সিলেকশন কমিশন-এর জন্য় প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি ৷ এই প্রসঙ্গে মধুসূদন বলেন, "দিলসুখনগরের কোচিং সেন্টারে ক্রমাগত পরীক্ষা দিয়ে এই সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে । আমি আত্মবিশ্বাসী, এসএসসি সিজিএল চাকরি পাব । আমি এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি ৷"

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.