ভাগলপুর(বিহার), 13 অগস্ট: সরকারি কোয়ার্টার থেকে পাঁচটি দেহ উদ্ধার। অভিযোগ, এক ব্যক্তি তাঁর কনস্টেবল স্ত্রী, মা ও দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন ৷ পরে নিজেও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভাগলপুর পুলিশ লাইনের সরকারি কোয়ার্টারে ৷ পারিবারিক অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান । নিহত কনস্টেবলের নাম নীতু কুমারী ৷ অভিযুক্ত স্বামীর নাম পঙ্কজ ৷
ভাগলপুরের ডিআইজি বিবেকানন্দ জানান, আশেপাশের বাসিন্দাদের থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, গত কয়েকদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল । গতকাল সন্ধ্যায়ও মারামারি হয়েছে । তিনি বলেন, "খুনের কারণ পারস্পরিক কলহ বলে মনে হলেও স্পষ্ট করে কিছু বলা মুশকিল । তদন্তের পরই আমরা বলতে পারব ঘটনার পিছনে আসল কারণ । সমস্ত দিক তদন্ত করে ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ৷ যাতে কারও সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে । যদিও নীতু তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি । এটি কেবল তাদের উভয়ের মধ্যে একটি বিষয় ছিল । ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।"
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সরকারি কোয়ার্টারের ঘর থেকে কনস্টেবল, তাঁর স্বামী-সহ 5 জনের দেহ উদ্ধার হয় । পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রথমে তাঁর স্ত্রী, মা এবং দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন । এরপর ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজেও আত্মঘাতী হন । ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে ৷ ভাগলপুরের ডিআইজি বিবেকানন্দ জানিয়েছেন, মৃতরা বক্সার জেলার বাসিন্দা । ঘটনাটি মৃতের আত্মীয়দের জানানো হয়েছে । তিনি জানান, নিহত নীতু কুমারী 2015 ব্যাচের কনস্টেবল ছিলেন । পঙ্কজের সঙ্গে তাঁর প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল ৷ তবে বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না ।
আত্মহত্যা কোনও সমাধান নয়
যদি আপনার মধ্যে কখনও আত্মহত্যার চিন্তা মাথাচাড়া দেয় বা আপনার কোনও বন্ধু বা পরিচিত এই সমস্যায় জর্জরিত হন, তাহলে ভেঙে পড়বেন না । জানবেন, এমন কেউ আছে যে আপনার যন্ত্রণা, আপনার হতাশা ভাগ করে নিতে সদা-প্রস্তুত । আপনার পাশে দাঁড়াতে তৎপর । সাহায্য পেতে দিনের যে কোনও সময়ে 044-24640050 এই নম্বরে কল করুন স্নেহা ফাউন্ডেশনে । টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সের হেল্পলাইন নম্বরেও (9152987821) কল করতে পারেন । এখানে ফোন করতে হবে সোমবার থেকে শনিবার সকাল 8টা থেকে রাত 10টার মধ্যে ।