নয়াদিল্লি, 16 মার্চ: পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা যে ধর্মেরই হোক না কেন, তারা ভারতীয় ৷ কারণ পিওকে ভারতের অংশ ৷ শুক্রবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র সমর্থনে খোলাখুলি একথা বললেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এদিন তিনি একটি অনুষ্ঠানে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএর উপর আরও জোর দেন ৷
এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, "পাকিস্তান অধিকৃত ভারত বা পিওকে ভারতের অংশ ৷ সেখানে বসবাসকারীদের নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না ৷ তারা হিন্দু হোক বা মুসলিম, তাঁরা ভারতীয় ৷ তাই পিওকে-র হিন্দু এবং মুসলমান আমাদের দেশের নাগরিক ৷"
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল 2019 সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাশ হয় ৷ তারপর এটি আইনে পরিণত হয় ৷ এদিকে চার বছরেরও বেশি সময় পর এই আইন কার্যকর হয় 11 মার্চ ৷ লোকসভার ঠিক আগে ৷ এই আইন কার্যকর করার সময় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ভোটব্যাংকের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলে ৷ পাশাপাশি ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগও উঠেছে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে ৷ অমিত শাহ অবশ্য এই সময় বিতর্কের পক্ষে জানান, 2019 সালে আইন প্রণয়ন হলেও রুলগুলি এবছর জারি করা হয়েছে ৷
এই আইনে বলা হয়েছে, তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র- পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে সময়ে সময়ে বহু অ-মুসলিম শরণার্থী হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা ভারতে এসেছে ৷ 2014 সালের 31 ডিসেম্বর তারিখের আগে যাঁরা এই তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করাই 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের উদ্দেশ্য, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷
এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সিএএ লাগু হওয়ার পর বিরোধী দল-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এর তীব্র বিরোধিতা করেছে ৷ এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, "যাঁরা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন, বলছেন এটি ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি ৷ তাঁরাই মুসলিম পার্সোনাল ল'কে সমর্থন করেন ৷" তিনি মনে করিয়ে দেন, দেশভাগের সময় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু-সহ অন্য কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন, পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে স্বাগত জানানো হবে ৷
আরও পড়ুন: