সিমলা, 4 সেপ্টেম্বর: নেতা-বিধায়কদের রাজনৈতিক দল বদল রুখতে অভিনব পদক্ষেপ করল হিমাচল প্রদেশ সরকার ৷ বিধানসভা থেকে বহিষ্কৃত বিধায়করা পেনশন পাবেন না ৷ এই মর্মে একটি বিল হিমাচল প্রদেশের বিধানসভায় পাশ করল কংগ্রেস সরকার ৷ এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে বিরোধী দল ৷ তারা এই বিলটি কোনও কমিটির কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠানোর দাবি তোলে ৷ সেই বিরোধিতা উপেক্ষা করেই বিল পাশ হয় বুধবার ৷
এদিন হিমাচলের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানান, রাজনীতিতে দল বদলে অনুৎসাহিত এবং নেতাদের নৈতিক মূল্যবোধ নিয়ে সচেতন করতে এই বিল আনা হয়েছে ৷ এদিন এই সংশোধনী বিলটি ধ্বনিভোটে পাশ হয় ৷ এবার বিলে চূড়ান্ত সম্মতি পেতে রাজভবনে পাঠানো হয়েছে ৷ রাজ্যপাল এই বিলটিকে সমর্থন করলে তা আইনে পরিণত হবে ৷
বিল অনুযায়ী, বহিষ্কৃত বিধায়করা পেনশন এবং অন্যান্য ভাতা পাবেন না ৷ তাই এই বিলটি পাশ হওয়ার পর হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন দুই কংগ্রেস বিধায়ক চৈতন্য শর্মা এবং দেবেন্দ্র ভুট্টো পেনশন এবং বিধায়কদের জন্য নির্ধারিত ভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন ৷
এই বিলের নেপথ্যে রয়েছে চলতি বছরে কংগ্রেস বিধায়কদের দল বদলের ঘটনা ৷ 27 ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় নির্বাচনের সময় 6 জন কংগ্রেস বিধায়ক এবং তিনজন নির্দল বিধায়ক বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনের পক্ষে ভোট দেন ৷ পরে তাঁরা সবাই বিজেপিতে যোগ দেন ৷ সেই সময় হিমাচল প্রদেশে বাজেট অধিবেশন চলছিল ৷ সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী হুইপ জারি করেন ৷
এই অবস্থায় 6 জন কংগ্রেস বিধায়ক হুইপ লঙ্ঘন করেন ৷ এরপর অধ্যক্ষ তাঁদের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ করেন ৷ পরে এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় ৷ ফলে বিধানসভায় ছ'টি আসন ফাঁকা হয়ে যায় ৷ ওই ছ'টি আসনে উপ-নির্বাচন হয় ৷ বিদ্রোহী 6 জন নেতা বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়ে ৷ তাঁদের মধ্যে, সুধীর শর্মা এবং ইন্দ্রদত্ত লখনপাল ফের উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন ৷
তিন জন নির্দল বিধায়কও বিজেপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েন ৷ তাঁদের মধ্যে শুধু আশিস শর্মা জয়ী হয়ে বিধানসভায় ফিরে আসেন ৷ এই ঘটনার পর বাদল অধিবেশনেই কংগ্রেস সরকার এই সংশোধনী বিল আনে ৷
এদিকে হিমাচল প্রদেশের সরকারি কর্মচারীরা এখনও বেতন পাননি ৷ মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বুধবার বিধানসভায় জানান, কর্মচারীরা মাসের 5 তারিখ বেতন পাবেন ৷ পেনশনভোগীরা 10 তারিখ পেনশন পাবেন ৷ এর ফলে রাজ্য সরকারের প্রতি মাসে 3 কোটি টাকা এবং বছরে 36 কোটি টাকা সাশ্রয় হবে ৷ তিনি বলেন, "প্রতি মাসের প্রথম দিন বেতন দিতে গিয়ে সরকারকে বাজার থেকে 7.5 শতাংশ হারে টাকা ধার করতে হয় ৷"