নয়ডা, 6 জুলাই: দিল্লি থেকে গ্রেফতার হাথরসের ঘটনার মূল অভিযুক্ত। সোমবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল দেবপ্রকাশ মধুকর। শুক্রবার বেশি রাতে তার গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসে। এই সৎসঙ্গটির মুখ্য সেবাদার মধুকর। ঘটনার পর দায়ের হওয়া এফআইআরে তাকেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখায় পুলিশ। এবার তাকে গ্রেফতার করা হল।
তবে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অন্য একটি দাবি করেছেন মধুকরের আইনজীবী। এক ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, মধুকর চিকিৎসা করাতে দিল্লি গিয়েছিল। সেখানেই সে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এরপর পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে। উল্লেখ্য, তার গ্রেফতারিতে সাহায্য করতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
গত সোমবার ঘটনাটি ঘটার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত 2 মহিলা-সহ 6 জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই 6 জনই সৎসঙ্গটির আয়োজক কমিটির সদস্য। এবার মূল অভিযুক্ত থেকে গ্রেফতার করা হল। তার থেকে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন তদন্তকারীরা। ঠিক কেন এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তা জানার চেষ্টা হবে। কয়েকটি সূত্রে এর আগেই দাবি করা হয়েছিল, অতিরিক্ত পরিমাণে ভক্তের সঙ্গম হওয়াতেই দুর্ঘটনা। এই বিষয়টি কতদূর সত্যিই তা মধুকরের থেকে জানতে চায় পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার সকালে, হাথরসের ঘটনায় আহত ও মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। মৃতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ৷ ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 123, যা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷ রাহুল স্বজনহারাদের কথা শুনে বলেন, "আমি রাজনৈতিকভাবে এখানে কিছু বলতে চাই না ৷ তবে, প্রশাসনিক গাফিলতি রয়েছে ৷"