ETV Bharat / bharat

হাথরস: লাশকাটা ঘরে 100 দেহের মুখ দেখে ফেলেছি, তবু দিদিকে পাইনি - Hathras stampede

author img

By PTI

Published : Jul 3, 2024, 6:28 PM IST

Hathras stampede: হাথরসে মৃত্যুমিছিলের ভিড়ে এখন চলছে আত্মীয়-পরিজনের দেহ খুঁজে পাওয়ার লড়াই ৷ আগ্রার এক ব্যক্তি তিনটি লাশকাটা ঘরে প্রায় 100 দেহের মুখ দেখে ফেলেছেন ৷ তবু এখনও তাঁর দিদির খোঁজ পাননি ৷

ETV BHARAT
হাথরসের মৃত্যুমিছিলে দেহের খোঁজে পরিজনেরা (নিজস্ব চিত্র)

আগ্রা, 3 জুলাই: ঘটনার পর 24 ঘণ্টা কেটে গিয়েছে ৷ দিদির খোঁজে এখনও মৃতদেহের ঢিবি হাতড়ে বেরাচ্ছেন 46 বছরের রাকেশ কুমার ৷ হাথরস, এটাহ ও আলিগড়ের লাশকাটা ঘরে একটা একটা করে দেখে ফেলেছেন শতাধিক নিথর মুখ ৷ তবু মেলেনি দিদির খোঁজ ৷

50 বছর বয়সি হরবেজি দেবী স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার সৎসঙ্গে গিয়েছিলেন ৷ যেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন 121 জন ৷ জখম হয়েছেন বহু ভক্ত ৷ মঙ্গলবার সন্ধের এই মর্মান্তিক ঘটনার বলি হন বহু মহিলা ও শিশু ৷ তাঁদের মধ্যেই দিদিও আছেন, এই সন্দেহে একের পর এক মৃতদেহের মুখের চাদর সরিয়ে সরিয়ে দেখছেন রাকেশ কুমার ৷

তাঁর কথায়, "আমি মুখ পরীক্ষা করার জন্য 100টিরও বেশি মৃতদেহ দেখে ফেলেছি ৷ তবে সেখানে দিদি ছিল না ৷" তিনটি ময়নাতদন্তের স্থান ঘুরেও ব্যর্থ মনোরথ রাকেশ ৷ তাঁর কথায়, "প্রচুর সংখ্যক মৃতদেহ পড়েছিল এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ ৷" রাকেশ জানান, তিনি সকালে তাঁর মোটরসাইকেলে চড়ে পোস্টমর্টেম হাউসে পৌঁছন তাঁর দিদি হরবেজি দেবীর খোঁজে ।

কাসগঞ্জের বাসিন্দা রাকেশ বলেন, "আলিগড়ের একটি গ্রামে থাকে আমার শ্যালক ৷ মঙ্গলবার তাঁর কাছ থেকে একটি ফোন পাই ৷ আমাকে ও জানায় যে, হরবেজি 'সৎসঙ্গে' গিয়েছিল কিন্তু ফিরে আসেনি ৷ প্রতিবেশীরা, যাঁরা সৎসঙ্গে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে বাড়িতে পৌঁছেছেন ৷" আর দেরি করেননি ৷ অবিলম্বে মোটরসাইকেলে চড়ে পদপিষ্ট হওয়ার স্থানে চলে যান রাকেশ, কিন্তু তাঁর দিদিকে খুঁজে পাননি তিনি ।

রাকেশের কথায়, "আমাকে জানানো হয়েছিল যে, কিছু মৃতদেহ হাথরস এবং আলিগড়ে পাঠানো হয়েছে । আমি তখন সেখানে যাই আমার বোনের খোঁজে । আমি জরুরি ওয়ার্ডেও পরীক্ষা করেছি, যেখানে আহতদের চিকিৎসা করা হচ্ছে, কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাইনি ৷ আমি সব খতিয়ে দেখেছি ৷ প্রশাসন মৃতদের তালিকা প্রকাশ করেছে এবং প্রতিটি হেল্পলাইন নম্বরে কল করে দেহগুলি সনাক্ত করার চেষ্টা করেছে ৷ কিন্তু আমার সমস্ত প্রচেষ্টা বৃথা গিয়েছে । আমি এখনও দিদিকে খুঁজে পাইনি এবং আমি এখনও চেষ্টা করছি ৷"

হরবেজির চারটি সন্তান, দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে ৷ কুমারের মতো আরও অনেকে পরিবারের সদস্যদের দেহ খুঁজতে ভিড় জমিয়েছে পোস্টমর্টেম হাউসগুলিতে ৷ মথুরার বিশাল কুমার জানান, "এই খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে সর্বত্র খোঁজাখুঁজি করেও মা পুষ্পা দেবীর সন্ধান পাইনি ৷ পরে জানতে পারি, মায়ের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আগ্রায় পাঠানো হয়েছে ৷ তাই আমি এখানে এসেছি ৷" বিশাল কুমার বলেন, তাঁর মা প্রায় এক দশক ধরে ভোলে বাবার ভক্ত ছিলেন ।

আগ্রার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. অরুণ শ্রীবাস্তবের মতে, মঙ্গলবার পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর থেকে মৃতদেহগুলি এখানে আনা হয়েছে । তাঁর কথায়, "আমাকে ইভেন্টে উপস্থিত সবাইকে জল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । আমার বাসে না পৌঁছনো পর্যন্ত কী ঘটেছে তা আমি জানতে পারিনি ৷" (পিটিআই)

আগ্রা, 3 জুলাই: ঘটনার পর 24 ঘণ্টা কেটে গিয়েছে ৷ দিদির খোঁজে এখনও মৃতদেহের ঢিবি হাতড়ে বেরাচ্ছেন 46 বছরের রাকেশ কুমার ৷ হাথরস, এটাহ ও আলিগড়ের লাশকাটা ঘরে একটা একটা করে দেখে ফেলেছেন শতাধিক নিথর মুখ ৷ তবু মেলেনি দিদির খোঁজ ৷

50 বছর বয়সি হরবেজি দেবী স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার সৎসঙ্গে গিয়েছিলেন ৷ যেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন 121 জন ৷ জখম হয়েছেন বহু ভক্ত ৷ মঙ্গলবার সন্ধের এই মর্মান্তিক ঘটনার বলি হন বহু মহিলা ও শিশু ৷ তাঁদের মধ্যেই দিদিও আছেন, এই সন্দেহে একের পর এক মৃতদেহের মুখের চাদর সরিয়ে সরিয়ে দেখছেন রাকেশ কুমার ৷

তাঁর কথায়, "আমি মুখ পরীক্ষা করার জন্য 100টিরও বেশি মৃতদেহ দেখে ফেলেছি ৷ তবে সেখানে দিদি ছিল না ৷" তিনটি ময়নাতদন্তের স্থান ঘুরেও ব্যর্থ মনোরথ রাকেশ ৷ তাঁর কথায়, "প্রচুর সংখ্যক মৃতদেহ পড়েছিল এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ ৷" রাকেশ জানান, তিনি সকালে তাঁর মোটরসাইকেলে চড়ে পোস্টমর্টেম হাউসে পৌঁছন তাঁর দিদি হরবেজি দেবীর খোঁজে ।

কাসগঞ্জের বাসিন্দা রাকেশ বলেন, "আলিগড়ের একটি গ্রামে থাকে আমার শ্যালক ৷ মঙ্গলবার তাঁর কাছ থেকে একটি ফোন পাই ৷ আমাকে ও জানায় যে, হরবেজি 'সৎসঙ্গে' গিয়েছিল কিন্তু ফিরে আসেনি ৷ প্রতিবেশীরা, যাঁরা সৎসঙ্গে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে বাড়িতে পৌঁছেছেন ৷" আর দেরি করেননি ৷ অবিলম্বে মোটরসাইকেলে চড়ে পদপিষ্ট হওয়ার স্থানে চলে যান রাকেশ, কিন্তু তাঁর দিদিকে খুঁজে পাননি তিনি ।

রাকেশের কথায়, "আমাকে জানানো হয়েছিল যে, কিছু মৃতদেহ হাথরস এবং আলিগড়ে পাঠানো হয়েছে । আমি তখন সেখানে যাই আমার বোনের খোঁজে । আমি জরুরি ওয়ার্ডেও পরীক্ষা করেছি, যেখানে আহতদের চিকিৎসা করা হচ্ছে, কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাইনি ৷ আমি সব খতিয়ে দেখেছি ৷ প্রশাসন মৃতদের তালিকা প্রকাশ করেছে এবং প্রতিটি হেল্পলাইন নম্বরে কল করে দেহগুলি সনাক্ত করার চেষ্টা করেছে ৷ কিন্তু আমার সমস্ত প্রচেষ্টা বৃথা গিয়েছে । আমি এখনও দিদিকে খুঁজে পাইনি এবং আমি এখনও চেষ্টা করছি ৷"

হরবেজির চারটি সন্তান, দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে ৷ কুমারের মতো আরও অনেকে পরিবারের সদস্যদের দেহ খুঁজতে ভিড় জমিয়েছে পোস্টমর্টেম হাউসগুলিতে ৷ মথুরার বিশাল কুমার জানান, "এই খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে সর্বত্র খোঁজাখুঁজি করেও মা পুষ্পা দেবীর সন্ধান পাইনি ৷ পরে জানতে পারি, মায়ের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আগ্রায় পাঠানো হয়েছে ৷ তাই আমি এখানে এসেছি ৷" বিশাল কুমার বলেন, তাঁর মা প্রায় এক দশক ধরে ভোলে বাবার ভক্ত ছিলেন ।

আগ্রার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. অরুণ শ্রীবাস্তবের মতে, মঙ্গলবার পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর থেকে মৃতদেহগুলি এখানে আনা হয়েছে । তাঁর কথায়, "আমাকে ইভেন্টে উপস্থিত সবাইকে জল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । আমার বাসে না পৌঁছনো পর্যন্ত কী ঘটেছে তা আমি জানতে পারিনি ৷" (পিটিআই)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.