বেঙ্গালুরু, 8 মার্চ: জনহিতৈষী এবং লেখক সুধা মূর্তি শুক্রবার রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের প্রশংসা করে এই ঘোষণা করেন । আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই মনোনয়ন পাওয়া সুধা মূর্তি 2006 সালে পদ্মশ্রী এবং 2023 সালে পদ্মভূষণে ভূষিত হন । তিনি ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী ও মূর্তি ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন ৷ তিনি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে লেখেন, উচ্চকক্ষে সুধা মূর্তির উপস্থিতি নারী শক্তির একটি শক্তিশালী প্রমাণ, যা দেশের ভাগ্য গঠনে মহিলাদের শক্তি এবং সম্ভাবনার উদাহরণ দেয় । মোদি লিখেছেন, "আমি আনন্দিত যে ভারতের রাষ্ট্রপতি সুধা মূর্তিজিকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছেন । সমাজকর্ম, জনহিতৈষী এবং শিক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুধাজির অবদান অপরিসীম এবং অনুপ্রেরণাদায়ক ।"
এ দিন সুধা মূর্তি বলেন, "আমি খুশি, একইসঙ্গে আমি অনুভব করি যে আমাকে আরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । আমি আমার স্তরের সেরা কাজ করব । ব্যক্তিগত স্তরে, আমি খুশি যে আমি দরিদ্রদের জন্য কাজ করার একটি বড় প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছি ।"
রাজনৈতিক অঙ্গণে তাঁর পদক্ষেপ হিসাবে একে বিবেচনা করা যেতে পারে কি না সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, সুধা মূর্তি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তিনি নিজেকে একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে বিবেচনা করেন না । তাঁর কথায়, "আমি মনে করি না যে আমি নিজেকে একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে বিবেচনা করতে পারি, আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি একজন মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য । আমার জামাইয়ের (ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক) রাজনীতি তাঁর দেশের জন্য এবং এটা আলাদা, এবং আমার কাজ আলাদা । আমি এখন একজন সরকারি কর্মী ৷"
উচ্চকক্ষে মনোনীত হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে মূর্তি বলেন, "এটা খুবই ভালো যে তিনি আমার কাজের প্রশংসা করেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই ।" সুধা মূর্তির জন্ম 1950 সালের 19 অগস্ট ৷ কর্ণাটকের হাভেরির শিগগাঁওতে ড. আরএই কুলকার্নি এবং বিমলা কুলকার্নির সন্তান তিনি । তাঁর পরিবার দেশস্থ মাধব ব্রাহ্মণ পরিবারের অন্তর্গত ।
সুধা মূর্তি একজন আগ্রহী পাঠক এবং একজন সক্রিয় নেটিজেন । এক্স-এ পোস্ট করা তাঁর নারী দিবসের বার্তায় তিনি বলেন, "সমাজ এবং অর্থনীতিতে নারীরা উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখেন । যদি তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেন, তাহলে এটি একটি বড় ভারসাম্যহীনতা তৈরি করবে এবং দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করবে ।"
তিনি বি.ভি.বি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বর্তমানে কেএলই টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিত) থেকে ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক । তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন । কর্ণাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন সুধা মূর্তি ।
তিনি এনআর নারায়ণমূর্তিকে বিয়ে করেন । সেই সময় পুনের টেল্কোতে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন সুধা মূর্তি । তাঁদের দুটি সন্তান - অক্ষতা (মেয়ে) এবং রোহন (ছেলে)। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক অক্ষতার স্বামী ।
আরও পড়ুন: