নয়াদিল্লি, 6 জুন: বন্দিদের মারামারিতে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল তিহাড় সংশোধনাগারে ৷ কুখ্যাত গোগি গ্যাংয়ের এক বন্দির উপর হামলা চালায় অপর দুই কয়েদি ৷ হত্যাকাণ্ডে বিচারাধীন বন্দিকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে ৷ যার জেরে আহত বন্দিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় ৷ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এবং নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত এই তিহাড় সংশোধনাগার ৷ এখানেই বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সুকেশ চন্দ্রশেখরের মতো অভিযুক্তরা ৷ ফলে সংশোধনাগারে ফের গ্যাং ওয়ারের ঘটনায় বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷
পশ্চিমের জেলার ডিসিপি বিচিত্রবীরের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, 5 জুন অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতাল থেকে এক বন্দির আহত হওয়ার খবর মিলেছে ৷ হরি নগর থানায় হাসপাতালের তরফে জানানো হয় যে, তিহাড় সংশোধনাগার থেকে আহত অবস্থায় এক বন্দিকে ভর্তি করা হয়েছে ৷ খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছলে তারা জানতে পারে, তিহাড় সংশোধনাগারে বন্দিদের মধ্যে মারামারি হয়েছে । এতে হিতেশ ওরফে হ্যাপি নামে এক বন্দি আহত হন ।
হিতেশ গোগি গ্যাংয়ের একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে জানা গিয়েছে ৷ তার উপর হামলা চালান গৌরব লোধা এবং গুরিন্দর নামে দুই বন্দি ৷ ডিসিপির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গৌরব এবং গুরিন্দর কোন গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত, সে সম্পর্কে সংশোধনাগারের থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি । তবে মনে করা হচ্ছে, গোগি গ্যাংয়ের বিরোধী গোষ্ঠীই এই হামলা চালিয়েছে ৷ হিতেশকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
পুলিশ জানিয়েছে, বাওয়ানা থানা এলাকায় একটি খুনের মামলায় 2019 সাল থেকে তিহাড় সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন হিতেশ । আর তার উপর যাঁরা হামলা চালিয়েছেন, সেই গৌরব এবং গুরিন্দরের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যার চেষ্টার মামলা রয়েছে ।
বিষয়টির গুরুত্ব দেখে হরি নগর থানা ভারতীয় দণ্ডবিধির 307 ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ এই বিষয়ে জেল প্রশাসনের কাছ থেকে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি ।
তিহাড়ে বন্দি রয়েছেন হাইপ্রোফাইল বিভিন্ন মামলার বন্দিরা ৷ ভোট মিটতেই আদালতের নির্দেশ মেনে ফের তিহাড়ে ফিরে গিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ এছাড়াও গরু পাচার মামলায় তিহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ৷ তিহাড়ের মহিলা সেলে বন্দি রয়েছেন তাঁর কন্যা সুকণ্ডা মণ্ডলও ৷ ফলে তিহাড়ের এই ঘটনায় অন্যান্য বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷