শ্রীনগর/নয়াদিল্লি, 6 ফেব্রুয়ারি: জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ ৷ তারা মঙ্গলবার এ কথা জানিয়ে বলেছে, জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা লস্কর-ই-তৈবা মডিউলে ধৃত সেনাকর্মী মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ।
দিল্লি পুলিশের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কুপওয়ারার কর্নার বাসিন্দা রিয়াজ আহমেদ রাথার নামে অভিযুক্তকে 4 ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ ৷ ধৃত তখন পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গিয়েছে । দিল্লি পুলিশের মতে, রিয়াজ গত বছরের 31 জানুয়ারি ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন । তিনি সেনাবাহিনীতে কোন পদে কাজ করেছেন তা বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়নি ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কর্নার অন্য দুই বাসিন্দা খুরশিদ আহমেদ রাথার এবং গুলাম সারওয়ার রাথারের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে রিয়াজের বিরুদ্ধে ৷ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্ত্রাসী হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন রিয়াজ ৷ 4 ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের তদন্ত সংস্থাগুলি থেকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়, সেখানে বলা হয়েছে যে কর্নাতে সম্প্রতি লুকনো সন্ত্রাসী মডিউলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন রিয়াজ ৷
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রিয়াজকে পলাতক বলে সন্দেহ করা হয়েছিল এবং 4 ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে তিনি পৌঁছবেন বলে খবর ছিল । পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে দ্রুত একটি দল গঠন করা হয় এবং নয়াদিল্লির মূল প্রবেশ, প্রস্থান ও কৌশলগত পয়েন্টগুলিতে তাদের মোতায়েন করা হয় ।
বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, "সতর্ক পুলিশ কর্মীরা খুব দ্রুত কাজ করেন ৷ রিয়াজ আহমেদকে শনাক্ত করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তিনি ভোরবেলা এক্সিট গেট নং 1 দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন । টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় যে, আহমেদ তাঁর বন্ধু আলতাফের সঙ্গে জবলপুর থেকে মহাকৌশল এক্সপ্রেসে চড়েছিলেন । 3 ফেব্রুয়ারি আনুমানিক বিকেল 3টেয় হজরত নিজামউদ্দিন রেলওয়ে স্টেশনে তাঁরা পৌঁছন । সেখান থেকে তাঁরা এনডিআরএস-এ পৌঁছনোর জন্য একটি অটো নেন, যেখান থেকে আহমদের অন্য একটি আস্তানায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা ছিল ।"
একসময়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে ধৃত রাথার খুরশিদ আহমেদ এবং গোলাম সারওয়ার রাথারের থেকে রিয়াজ আহমেদের অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি চালান পেয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে ৷ পুলিশ আহমদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও একটি সিমকার্ড উদ্ধার করেছে । আইনের উপযুক্ত ধারার অধীনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে অবহিত করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: