বারাবাঁকি, 7 এপ্রিল: উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি জেলায় শনিবার ঘাঘরা নদীতে নেমে তলিয়ে গেল চার নাবালক-সহ 5 ৷ এর মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও দু'জনের খোঁজ এখনও চলছে, যার মধ্যে ওই যুবকও রয়েছে ৷ ঘটনার পর 20 ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাকি দুই নাবালকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এসডিআরএফ-সহ ডুবুরিদের দল ক্রমাগত সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন উদ্ধারকাজের বিষয়টির তদারকি করছে।
শনিবার বিকেলে চিররার বাসিন্দা 15 বছরের আহমেদ রাজা, 12 বছরের হামজা, শাফ আহমেদ এবং 10 বছরের আমন শফ ঘাঘরা নদীতে নামে। গ্রামের টিকাইতনগর থানা এলাকা ও গ্রাম থেকে একটু দূরে ঘাঘরা নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। চার নাবালক গভীর জলে তলিয়ে যেতে থাকে। একই গ্রামের 26 বছর বয়সী নূর আলম ওই নাবালকদের ডুবে যেতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে নিজের বাইক নিয়ে নদীতীরে পৌঁছে দ্রুত তাদের বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেয়।
ওই যুবক দুই নাবালককে ধরে ফেললেও ডুবতে থাকা নাবালকদের ওজন আর নদীর জলের প্রচণ্ড তোড়ের কারণে তিনি তাদেরর পাড়ে তুলে আনতে পারেননি। ডুবন্ত দুই নাবালক তাঁকে আঁকড়ে ধরে থাকায় নিজেও আর নদী থেকে উঠে আসতে পারেননি ওই যুবক। তাই জল থেকে উঠে আসার আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও নূর আলম জলে ডুবে যেতে থাকেন। ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শতাধিক গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে ডুবে যাওয়া নাবালক খোঁজ করতে শুরু করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ডুবুরিদের নদীতে নামিয়ে ডুবে যাওয়া নাবালক ও যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। অনেকক্ষণ নদীতে তল্লাশির পর তিন নাবালককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিন নাবালককে উদ্ধারের পর টিকাইতনগর সিএইচসিতে পাঠানো হয়। যেখানে চিকিৎসকরা এদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। নাবালকদের উদ্ধারে নেমে নিখোঁজ হওয়া যুবক নূর আলম এবং 10 বছরের আমনের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলাচ্ছে ডুবুরিদের দল। ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে।
আরও পড়ুন: