ETV Bharat / bharat

ভুয়ো ডিগ্রি বিতরণ, অভিযুক্ত খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক - MAGADH UNIVERSITY FAKE DEGREE CASE

দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ। তাঁরা বিদেশে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়ো ডিগ্রি দিয়েছেন বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।

-magadh-university
এরকমই ডিগ্রি বিতরণের অভিযোগ উঠেছে (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

গয়া, 16 ডিসেম্বর: বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়ো ডিগ্রি বিদেশে বিতরণের অভিযোগ দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। মগধ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধচর্চা (বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ) বিভাগের দুই অধ্যাপক মায়নামারে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিগ্রি বিতরণ করেছেন বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার উপেন্দ্র কুমারের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে । এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত 29 সেপ্টেম্বর। বিষ্ণু শঙ্কর এবং কৈলাশ প্রসাদ নামে ওই দুই অধ্যাপক মায়ানমারের রাজধানী নেপিয়াডোর কাছে একটি জায়গায় যান। সেখানে তাঁদের সঙ্গে বেশ কয়েকজনের দেখা হয়। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিগ্রি দেন এই দুই অধ্যাপক। যদিও তেমন কোনও ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইস্যু করা হয়নি। এখান থেকেই স্পষ্ট যে সমস্ত ডিগ্রি সেদিন দেওয়া হয়েছিল তার সবই ভুয়ো।

কিছু দিন পর ফেসবুক থেকে শুরু করে একাধিক সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনার কথা জানতে পারে। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসপি শাহি । তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক ভুয়ো ডিগ্রি বিতরণ করেছেন তা আমরা জানতে পেরেছি। আরও জানা গিয়েছে ডিগ্রিতে ব্যবহৃত সইটিও জাল। তদন্ত শুরু হয়েছে ।" বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িতদের অনেকেরই অনুমান, গোটা লেনদনের নেপথ্য মোটা অঙ্কের আদান-প্রদান হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।

এ প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার বলেন, "ফেসবুক থেকে আমরা জানতে পারি অধ্যাপক বিষ্ণু শঙ্কর এবং কৈলাশ প্রসাদ নামে এই দুই অধ্যাপক মায়ানমারে গিয়ে ভুয়ো ডিগ্রি বিতরণ করে এসেছেন। মগধ বিশ্ববিদ্যালয় তরফে ওই সমস্ত ব্যক্তিদের সাম্মানিক ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু এভাবে কাউকে সাম্মানিক ডিগ্রি দেওয়ার নিয়ম নেই ।"

তিনি আরও বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোনও ব্যবস্থাও নেই । তাছাড়া ওই দুই অধ্যাপকেরও ডিগ্রি বিতরণের কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতাও নেই । সবমিলিয়ে বুঝতেই পারি যে সমস্ত ডিগ্রি বিতরণ করা হয়েছে তার কোনও আইনি বৈধতা নেই । এরপর পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ।" তবে ফেসবুকের মতো সোশাল মিডিয়ার সাহায্যে ঠিক কীভাবে ভুয়ো ডিগ্রি বিতরণের বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় জানতে পারল তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি ।

গয়া, 16 ডিসেম্বর: বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়ো ডিগ্রি বিদেশে বিতরণের অভিযোগ দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। মগধ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধচর্চা (বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ) বিভাগের দুই অধ্যাপক মায়নামারে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিগ্রি বিতরণ করেছেন বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার উপেন্দ্র কুমারের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে । এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত 29 সেপ্টেম্বর। বিষ্ণু শঙ্কর এবং কৈলাশ প্রসাদ নামে ওই দুই অধ্যাপক মায়ানমারের রাজধানী নেপিয়াডোর কাছে একটি জায়গায় যান। সেখানে তাঁদের সঙ্গে বেশ কয়েকজনের দেখা হয়। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিগ্রি দেন এই দুই অধ্যাপক। যদিও তেমন কোনও ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইস্যু করা হয়নি। এখান থেকেই স্পষ্ট যে সমস্ত ডিগ্রি সেদিন দেওয়া হয়েছিল তার সবই ভুয়ো।

কিছু দিন পর ফেসবুক থেকে শুরু করে একাধিক সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনার কথা জানতে পারে। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসপি শাহি । তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক ভুয়ো ডিগ্রি বিতরণ করেছেন তা আমরা জানতে পেরেছি। আরও জানা গিয়েছে ডিগ্রিতে ব্যবহৃত সইটিও জাল। তদন্ত শুরু হয়েছে ।" বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িতদের অনেকেরই অনুমান, গোটা লেনদনের নেপথ্য মোটা অঙ্কের আদান-প্রদান হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।

এ প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার বলেন, "ফেসবুক থেকে আমরা জানতে পারি অধ্যাপক বিষ্ণু শঙ্কর এবং কৈলাশ প্রসাদ নামে এই দুই অধ্যাপক মায়ানমারে গিয়ে ভুয়ো ডিগ্রি বিতরণ করে এসেছেন। মগধ বিশ্ববিদ্যালয় তরফে ওই সমস্ত ব্যক্তিদের সাম্মানিক ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু এভাবে কাউকে সাম্মানিক ডিগ্রি দেওয়ার নিয়ম নেই ।"

তিনি আরও বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোনও ব্যবস্থাও নেই । তাছাড়া ওই দুই অধ্যাপকেরও ডিগ্রি বিতরণের কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতাও নেই । সবমিলিয়ে বুঝতেই পারি যে সমস্ত ডিগ্রি বিতরণ করা হয়েছে তার কোনও আইনি বৈধতা নেই । এরপর পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ।" তবে ফেসবুকের মতো সোশাল মিডিয়ার সাহায্যে ঠিক কীভাবে ভুয়ো ডিগ্রি বিতরণের বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় জানতে পারল তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.