নয়াদিল্লি, 30 ডিসেম্বর: আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় ক্যানসারে আক্রান্ত বহু রোগী উপকৃত হয়েছেন ৷ রোগী তথা তাঁদের পরিবারের চিকিৎসার জন্য আর্থিক বোঝা অনেক কমে গিয়েছে ৷ 'মান কী বাত'-র 117তম সংকলনে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই সঙ্গে, ম্যালেরিয়ার মোকাবিলায় নাগরিকদের ভূমিকার প্রশংসাও করলেন তিনি ৷
ক্যানসার মোকাবিলায় মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের একটি সমীক্ষা এদিন নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি জানান, সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে সময়মতো ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু করার প্রবণতা আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে ৷ আগের থেকে অনেক বেশি সতর্ক হয়েছেন দেশের নাগরিকরা ৷ মারণ রোগে আক্রান্ত রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ভূমিকার উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী ৷
তিনি বলেন, "কেন্দ্রের এই প্রকল্পের জন্য ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের 90 শতাংশ সময়মতো চিকিৎসা শুরু করতে পেরেছেন ৷ আগে অর্থের অভাবে মারণ এই রোগের চিকিৎসা থেকে সরে দাঁড়াতেন দরিদ্র রোগীরা ৷ কিন্তু, আয়ুষ্মান ভারতের কারণে আজ তাঁরা নিজেরাই চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছেন ৷" প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের এই প্রকল্প ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ অনেক কমিয়ে দিয়েছে ৷
ক্যানসারের পাশাপাশি এদিন ম্যালেরিয়া নিয়েও আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "গত 4 হাজার বছর ধরে মানব সমাজের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হল ম্যালেরিয়া ৷ এমনকী, স্বাধীনতার সময়েও এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে ওঠে ৷ দেশের সংক্রামক রোগগুলির মধ্যে তৃতীয়স্থানে রয়েছে ম্যালেরিয়া ৷ এক মাস থেকে 5 বছর বয়সি শিশুদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এই রোগ ৷ তবে বর্তমানে এই সমস্যার সঙ্গেও লড়াই করতে সক্ষম আমরা ৷"
এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী ৷ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে 2015 সাল থেকে 2023 সালের মধ্যে ম্যালেরিয়ায় মৃতের সংখ্যা 80 শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ৷ দেশবাসীর সহযোগিতায় এই সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী ৷ এই প্রসঙ্গে, এদিন বিশেষভাবে ম্যালেরিয়া প্রবণ অসমের জোড়হাট চা বাগানের শ্রমিক ও হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলার বাসিন্দাদের কথা উল্লেখ করেন তিনি ৷ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ম্যালেরিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ে এঁদের অবদান অনস্বীকার্য ৷
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "চার বছর আগে পর্যন্ত অসমের জোড়হাটের মানুষের মধ্যে ম্যালেরিয়া উদ্বেগের কারণ ছিল ৷ একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন এলাকাবাসী ৷ এক্ষেত্রে, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার পূর্ণ ব্য়বহার করেন তাঁরা ৷ হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের একইভাবে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন সাধারণ মানুষ ৷"