নয়াদিল্লি, 23 জুলাই: কেন্দ্রীয় বাজেটে মেট্রোর উপর বিশেষ নজর অর্থমন্ত্রকের ৷ বুলেট ট্রেন বা বন্দে ভারত, নতুন কোনও ট্রেনের ঘোষণা শোনা যায়নি সীতারমনের 'বহিখাতা' থেকে ৷ তবে বাংলায় বিশেষত মেট্রো রেলের ক্ষেত্রে বরাদ্দে ব্যাপক রদবদল হয়েছে বাজেটে ৷ প্রতি ক্ষেত্রেই বেড়েছে বরাদ্দ ৷ এছাড়া বন্দেভারত মেট্রোর ঘোষণাও হল বাজেটে।
ভারতীয় রেল 2023-2024 সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে 2.40 লক্ষ কোটি টাকা এবং অন্তর্বর্তী বাজেট 2024-2025-এ 2.52 লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছে ৷ যা 2022 সালের অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে 75 শতাংশ বেশি। গত 1 ফেব্রুয়ারি পেশ করা অন্তর্বর্তী বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রেলওয়ে খাতে 2 লক্ষ 52 হাজার 200 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন ৷ গ্রস বাজেটারি সাপোর্ট (জিবিএস)-এ অতিরিক্ত বাজেটের রিসোর্স থেকে যা বেড়েছে 10 হাজার কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্যভাবে, কলকাতা মেট্রোতেও তার প্রভাব পড়েছে ৷
বাজেটে কলকাতা মেট্রোর জন্য বরাদ্দ 600 কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে 906 কোটি টাকা ৷ অর্থাৎ প্রায় 300 কোটির বেশি হয়েছে ৷ অন্যদিকে, জোকা-বিবাদী বাগ ভায়া মাঝেরহাট মেট্রো প্রকল্পে প্রায় 409 কোটি বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। দমদম বিমানবন্দর-নিউ গড়িয়া ভায়া রাজারহাট প্রকল্পে 41.39 কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছে। হাই স্পিড ট্রেনের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে 21 হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে যেখানে বরাদ্দ ছিল 18 হাজার 592 কোটি টাকা। এবার তা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে 21 হাজার কোটি টাকা।
কেএমআরসিএল বাজেট বরাদ্দ 600 কোটি থেকে বেড়ে 906 কোটি হয়েছে। গতবার মোট 1750 কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল মেট্রো প্রকল্পে। চলতি বছরে বরাদ্দের পরিমাণ 1791.39। যদিও রেল বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট বক্তৃতা ভারতীয় রেলওয়ে সম্প্রদায়কে হতাশ করেছে ৷ প্রত্যাশার বিপরীতে অর্থমন্ত্রী তাঁর ভাষণে মাত্র একবার রেলের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইনের অধীনে নির্দিষ্ট অঞ্চলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এর মধ্যে প্রধান শিল্প করিডোরে জল, বিদ্যুৎ, রেলপথ এবং রাস্তার বিধান অন্তর্ভুক্ত ছিল। যাইহোক, রেলওয়ে শিল্প মূলধন ব্যয়, প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধির জন্য আরও উল্লেখযোগ্য ঘোষণার আশা করেছিল রেলওয়ে সম্প্রদায় ৷
অন্যদিকে, সরকারকে অর্থনৈতিক করিডোরগুলির সময়োপযোগী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং দুর্ঘটনা রোধে সুরক্ষা প্রোটোকল বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ৷ রেলওয়ে বাজেটে উল্লেখযোগ্য প্রত্যাশা সত্ত্বেও, সরকার আগের ঘোষণার মতোই মূলধন ব্যয় বজায় রেখেছে। অন্যদিকে, রেলওয়ে গ্যাংওয়ে, স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং দরজা, নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি, রুট ম্যাপ, যাত্রী তথ্য সিস্টেম, ইনফোটেইনমেন্ট, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা এবং অ্যারোসল-ভিত্তিক মেট্রো ট্রেনসেট কোচ বন্দেভারত মেট্রো চালু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
আগামী বছর সেটি আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে ৷ কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত দরজা এবং সিসিটিভি নজরদারি যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ায়, যেখানে ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম এবং রুট ম্যাপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে একটি আধুনিক স্পর্শ প্রদান করে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা-সহ, নতুন বন্দে মেট্রো কোচগুলি অদূর ভবিষ্যতে রেল ভ্রমণকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে প্রস্তুত ৷