হায়দরাবাদ, 8 জুন: অসুস্থ হয়ে দিন তিনেক ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে ৷ শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন রামোজি গ্রুপের চেয়ারম্যান রামোজি রাও ৷ মিডিয়া টাইকুনের মৃ্ত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল থেকে বিনোদুনিয়া ৷ শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রামোজি রাওয়ের মরদেহ শায়িত রাখা হয় রামোজি ফিল্ম সিটিতে তাঁর কার্যালয়ে ৷ রামোজি রাওয়ের মৃত্যুতে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন অমিত শাহ, চন্দ্রবাবু নাইডু, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি থেকে শুরু করে অভিনেতা রজনীকান্ত, পরিচালক এসএসরাজা মৌলি-সহ অন্যান্যরা ৷
রামোজি গ্রুপের প্রধান রামোজি রাও ছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম ফিল্ম প্রোডাকশন ফ্যাসিলিটি রামোজি ফিল্ম সিটি, এনাডু সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল ইটিভি নেটওয়ার্ক, চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ঊষা কিরণ মুভিজের মালিক ৷ সিনেদুনিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ছিল অন্তরঙ্গতা ৷ রামোজি রাওয়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে পরিচালক রাজামৌলি লিখেছেন, "একজন মানুষ তাঁর 50 বছরের স্থিতিস্থাপকতা, কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান, জীবিকা এবং আশা প্রদান করেছেন। রামোজি রাও গারুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একমাত্র উপায় হল তাঁকে 'ভারতরত্ন' প্রদান করা।"
অমিত শাহ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, মিডিয়া মোগল এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি রামোজি রাওয়ের মৃত্যুসংবাদ অত্যন্ত বেদনাদায়ক ৷ মিডিয়া থেকে অর্থ, শিক্ষা থেকে পর্যটন; বহুক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন রামোজি রাও। যদিও কিংবদন্তি আর আমাদের মধ্যে নেই, তবে তাঁর উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। কঠিন সময়ে আমি তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং ভক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।"
অভিনেতা রজনীকান্ত প্রয়াত রামোজি রাওকে 'মেন্টর' আখ্যা দিয়ে এক্সে লিখেছেন, "আমার মেন্টর, শুভাকাঙ্খী রামোজি রাও গারুর মৃত্যুর খবরে ভীষণভাবে শোকাহত ৷ সংবাদমাধ্যম, সিনেমা জগতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন উনি ৷ রাজনৈতিক জগতেও ছিলেন কিংমেকার ৷ উনি ছিলেন আমার গাইড এবং একইসঙ্গে অনুপ্রেরণা ৷ উনার আত্মার শান্তি কামনা করি ৷"
অভিনেতা কমল হাসান লিখেছেন, "ভারতের সংবাদমাধ্যম এবং সিনেমাজগতের এক চূড়া, ইনাডু গ্রুপের চেয়ারম্যান, রামোজি রাও গারুর মৃত্যুর খবরে গভীর শোকাহত। তাঁর নৈপুণ্যের সম্মানে নির্মিত রামোজি রাও ফিল্ম সিটি কেবল শুটিং লোকেশনই নয়, জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যও বটে। রামোজি রাওয়ের মতো একজন দূরদর্শী এবং উদ্ভাবনী চিন্তাবিদের চলে যাওয়া ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক অপূরণীয় ক্ষতি।তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।"