ETV Bharat / bharat

মায়ের পাশ থেকে ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে গেল নেকড়ে ! মিলল ক্ষত-বিক্ষত দেহ - Wolf Attack

Wolf Fear in UP Village: নেকড়ের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামের ৷ মঙ্গলেও মায়ের কোল থেকে শিশুকে তুলে নিয়ে গেল নেকড়ে ৷ পরে মিলল তার দেহ ৷ এখনও পর্যন্ত 10 জনের মৃত্যু হয়েছে জংলি পশুর আক্রমণে, আহত 36 ৷ প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্য ৷

Fear of Wolf in UP Village
উত্তরপ্রদেশের গ্রামে নেকড়ের আতঙ্ক (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 27, 2024, 6:07 PM IST

বাহরাইচ (উত্তরপ্রদেশ), 27 অগস্ট: মায়ের সঙ্গে বাড়ির উঠোনে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিল বছর পাঁচেকের আয়ানশ ৷ রাত তখন তিনটে ৷ নিঃশব্দে ঘরে ঢোকে নেকড়ে ৷ পরিবারের বাকি সদস্যরাও তখন ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ চোয়ালে চেপে ধরে আয়ানশকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল নেকড়ে ৷ সেই সময় ছেলে চিৎকার করে ককিয়ে উঠতেই ঘুম ভেঙে যায় তার মা রোলির ৷ চোখের সামনে নেকড়ের মুখে ছেলেকে দেখে চিৎকার করে ওঠেন মহিলা ৷ ঘুম ভেঙে যায় সকলের ৷ ছুটে আসেন স্থানীয়রাও ৷ কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ ৷

বন দফতরের দলকে খবর দেওয়া হয় ৷ রাতভর তল্লাশি চালানো হলেও আয়ানশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ এরপর মঙ্গলবার সকালে একটি মাঠের মধ্যে তার বিকৃত দেহ পাওয়া যায় ৷ খয়েরিঘাট থানার দেওয়ান পূর্ব গ্রামে ততক্ষণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷ ফরেনসিক দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত চালায় । বন দফতরের কর্মীরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে সারারাত শিশুটিকে খুঁজলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি । আখের ক্ষেত-সহ অন্যান্য স্থানেও তল্লাশি চালানো হয় । মঙ্গলবার সকালে ধানক্ষেতে আয়ানশের বিকৃত লাশ পাওয়া যায় । ছেলেকে ওই অবস্থায় দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মা । পরিবারের অন্য সদস্যরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন ।

জানা গিয়েছে, সোমবারও এক মহিলাকে খেয়ে ফেলেছিল নেকড়ে । টানা দুই দিনে প্রাণ হারিয়েছেন দু'জন । এর আগেও নেকড়ের আক্রমণে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে । গ্রামের লোকজন জানায়, অনেকদিন ধরে এলাকায় নেকড়ের আতঙ্ক রয়েছে । নেকড়েদের আক্রমণে এ পর্যন্ত 8 জন প্রাণ হারিয়েছে । তা সত্ত্বেও নেকড়েটিকে ধরা যায়নি । গবাদি পশু ও শিশুদের রক্ষায় সারারাত জেগে থাকতে হয় মানুষকে । রবিবার রাতে, 45 বছর বয়সী রীতা দেবীও হার্দি থানার কুমহারানপুরওয়া গ্রামে নেকড়ের আক্রমণে মারা যান ।

খয়েরিঘাট থানার লোনিয়ান পূর্ব এলাকায় নেকড়ের হামলায় 22 বছর বয়সি কাজল-সহ প্রায় 36 জন আহত হয়েছে । লাগাতার ঘটনার জেরে আতঙ্কে গ্রামবাসীরা । তাঁরা দ্রুত নেকড়ে ধরার দাবি জানিয়েছেন । এই শিশুদের মধ্যে ছয়জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে ৷ আর একজনের এখনও পাওয়া যায়নি । যেসব গ্রামে নেকড়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বন বিভাগের আধিকারিক ও কর্মচারীরা ডিএম এবং এসপি সকলেই বেশ কয়েকবার টহল দিয়েছেন । তা সত্ত্বেও নেকড়েটিকে ধরা যায়নি । আঞ্চলিক বিধায়ক সুরেশ্বর সিংও বেশ কয়েকবার গ্রামে পৌঁছেছেন এবং লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছেন ।

বাহরাইচ (উত্তরপ্রদেশ), 27 অগস্ট: মায়ের সঙ্গে বাড়ির উঠোনে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিল বছর পাঁচেকের আয়ানশ ৷ রাত তখন তিনটে ৷ নিঃশব্দে ঘরে ঢোকে নেকড়ে ৷ পরিবারের বাকি সদস্যরাও তখন ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ চোয়ালে চেপে ধরে আয়ানশকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল নেকড়ে ৷ সেই সময় ছেলে চিৎকার করে ককিয়ে উঠতেই ঘুম ভেঙে যায় তার মা রোলির ৷ চোখের সামনে নেকড়ের মুখে ছেলেকে দেখে চিৎকার করে ওঠেন মহিলা ৷ ঘুম ভেঙে যায় সকলের ৷ ছুটে আসেন স্থানীয়রাও ৷ কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ ৷

বন দফতরের দলকে খবর দেওয়া হয় ৷ রাতভর তল্লাশি চালানো হলেও আয়ানশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ এরপর মঙ্গলবার সকালে একটি মাঠের মধ্যে তার বিকৃত দেহ পাওয়া যায় ৷ খয়েরিঘাট থানার দেওয়ান পূর্ব গ্রামে ততক্ষণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷ ফরেনসিক দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত চালায় । বন দফতরের কর্মীরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে সারারাত শিশুটিকে খুঁজলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি । আখের ক্ষেত-সহ অন্যান্য স্থানেও তল্লাশি চালানো হয় । মঙ্গলবার সকালে ধানক্ষেতে আয়ানশের বিকৃত লাশ পাওয়া যায় । ছেলেকে ওই অবস্থায় দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মা । পরিবারের অন্য সদস্যরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন ।

জানা গিয়েছে, সোমবারও এক মহিলাকে খেয়ে ফেলেছিল নেকড়ে । টানা দুই দিনে প্রাণ হারিয়েছেন দু'জন । এর আগেও নেকড়ের আক্রমণে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে । গ্রামের লোকজন জানায়, অনেকদিন ধরে এলাকায় নেকড়ের আতঙ্ক রয়েছে । নেকড়েদের আক্রমণে এ পর্যন্ত 8 জন প্রাণ হারিয়েছে । তা সত্ত্বেও নেকড়েটিকে ধরা যায়নি । গবাদি পশু ও শিশুদের রক্ষায় সারারাত জেগে থাকতে হয় মানুষকে । রবিবার রাতে, 45 বছর বয়সী রীতা দেবীও হার্দি থানার কুমহারানপুরওয়া গ্রামে নেকড়ের আক্রমণে মারা যান ।

খয়েরিঘাট থানার লোনিয়ান পূর্ব এলাকায় নেকড়ের হামলায় 22 বছর বয়সি কাজল-সহ প্রায় 36 জন আহত হয়েছে । লাগাতার ঘটনার জেরে আতঙ্কে গ্রামবাসীরা । তাঁরা দ্রুত নেকড়ে ধরার দাবি জানিয়েছেন । এই শিশুদের মধ্যে ছয়জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে ৷ আর একজনের এখনও পাওয়া যায়নি । যেসব গ্রামে নেকড়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বন বিভাগের আধিকারিক ও কর্মচারীরা ডিএম এবং এসপি সকলেই বেশ কয়েকবার টহল দিয়েছেন । তা সত্ত্বেও নেকড়েটিকে ধরা যায়নি । আঞ্চলিক বিধায়ক সুরেশ্বর সিংও বেশ কয়েকবার গ্রামে পৌঁছেছেন এবং লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.