চণ্ডীগড়, 21 ফেব্রুয়ারি: পঞ্জাবের খানৌরি সীমান্তে গুলির আঘাতে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ৷ এমনটাই দাবি করেছেন এক কৃষক নেতা। পুলিশ যদিও এখনও এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেনি। স্বভাবতই ওই কৃষতকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। এদিকে, হরিয়ানা পুলিশ বুধবার শম্ভু এবং খানৌরি সীমান্তে পঞ্জাব থেকে আসা কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস শেল ছোড়ে ৷ সে সময় কৃষকরা প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে ব্যারিকেডের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
কৃষকরা তাঁদের ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ৷ কৃষকরা ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা বুধবার সকাল 11টায় তাদের বিক্ষোভ আবার শুরু করবেন ৷ সরকারের সঙ্গে তাদের চতুর্থ দফা আলোচনায় সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয় ৷ তারপরে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হরিয়ানার আম্বালার কাছে শম্ভুতে বহু-স্তরযুক্ত ব্যারিকেডের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন ৷ তখন পুলিশ তাদের কাঁদানে গ্যাস দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় ।
শম্ভুতে বিক্ষোভের জায়গায় একটি ড্রোনও দেখা গিয়েছে এদিন । পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তের খানৌরিতে হরিয়ানা পুলিশ ব্যারিকেডের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে একাধিক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছিল । কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পর খনৌরি সীমান্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ৷ তারমধ্যেই কৃষকরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন ৷ যার ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ৷ অনেক বিক্ষোভকারী কৃষককে গ্যাস থেকে রক্ষা পেতে মুখোশ এবং প্রতিরক্ষামূলক চশমা পরতে দেখা গিয়েছে ।
কৃষক নেতারা সীমান্তে আন্দোলনকারীদের শান্তি বজায় রাখতে বলেছেন। বিক্ষোভকারী কৃষকরা পাঁচ বছরের জন্য সরকারি সংস্থাগুলির দ্বারা এমএসপি-তে ডাল, ভুট্টা এবং তুলো সংগ্রহের জন্য বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন । হাজার হাজার কৃষক 13 ফেব্রুয়ারি দিল্লির দিকে পদযাত্রা শুরু করেছিল তাঁদের হরিয়ানা সীমান্তেই আটকানো হয় ৷ এরপর সেখানে তাঁরা নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ।
কৃষকরা তখন থেকে হরিয়ানার পাশাপাশি পঞ্জাবের সীমান্তে শম্ভু এবং খানৌরি পয়েন্টে ক্যাম্প করে রয়েছেন । সম্যুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং কিষাণ মজদুর মোর্চা 'দিল্লি চলো' পদযাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছে যাতে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া যায় ৷ তার মধ্যে ফসলের জন্য এমএসপি এবং কৃষি ঋণ মওকুফের মতো দাবি রয়েছে ৷
(সংবাদ সংস্থা- পিটিআই)
আরও পড়ুন: