পানিপত (হরিয়ানা), 6 ফেব্রুয়ারি: ইটিভি ভারতের খবরের জের হরিয়ানার পানিপতে ৷ বদলে গেল জাতীয় বক্সার মনু ওরফে টাইসনের জীবন ৷ আর্থিক সংকট কাটিয়ে কীভাবে তাঁর জীবনে বদল এল, জানুন ৷
পানিপথের বুয়ানা লাখু গ্রামের বাসিন্দা বক্সার মনু ওরফে টাইসন ৷ সংসারে চরম দারিদ্র্যতা ৷ অলিম্পিক জেতার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে খালি পেটেই দিনরাত অনুশীলন করতেন । প্রবল আর্থিক অনটন থাকায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাঁর খাবারের ব্যবস্থা করতেন । এই খেলোয়াড়ের প্রতিভা ও আবেগ দেখে কোচও মনুকে নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে সবরকম সাহায্য করতেন । দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা এই খেলোয়াড়ের খবর বড় করে সম্প্রচার করেছিল ইটিভি ভারত ৷ তারপরই সাহায্য পেতে শুরু করেন টাইসন ৷ আর এখন তো তাঁর জীবন সম্পূর্ণরূপে বদলে গিয়েছে ।
পানিপতের এই প্রতিভাবান বক্সার কীভাবে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করছেন তা দেখিয়েছিল ইটিভি ভারত । 2021 সালের সেপ্টেম্বরে, এই খবরটি দেখে হরিয়ানার ফৌজি ভাইচরা (মিলিটারি ব্রাদারহুড) গ্রুপ ৷ এই গ্রুপটি আর্থিক সংকটে পড়া খেলোয়াড় এবং শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে । টাইসনকে এরা একটানা 3 বছর সাহায্য করেছে ৷ তাঁর ডায়েট এবং কিটের খরচ বহন করেছিল ৷ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য সাহায্য করেছিল এই গ্রুপ ৷ তাদের থেকে এত সাহায্য পেয়ে দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা মনু এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে ।
আসলে, টাইসন এখন ভারতীয় রেলে চাকরি পেয়েছেন ৷ এর জন্য মিলিটারি ব্রাদারহুড গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন টাইসন ৷ আবার জাতীয় বক্সারের সুদিন ফেরাতে সাহায্য করায় এই গ্রুপের সদস্য সচিন ইটিভি ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন । তিনি জানান, ইটিভি ভারতের খবর দেখেই তিনি মনুর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ৷ তা না হলে আজ হয়তো তিনি মনুর কাছে পৌঁছতে পারতেন না ৷ এত সাহায্য না পেলে মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও মনুকে উন্নত জীবন পেতে দীর্ঘ সময় ধরে সংগ্রাম করতে হত । রেলে চাকরি পাওয়ার পর মনু এখন তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, অন্যান্যদের মতো তিনিও নিজের বেতনের একটি অংশ ফৌজি ভাইচরা গ্রুপের অ্যাকাউন্টে দেবেন ৷ যাতে তাঁর মতো দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা লোকদের আরও সাহায্য করা যায় ।
মনুর বোনও একজন জাতীয় বক্সার ছিলেন ৷ তিনিও আর্থিক সংকটের কারণে খেলা ছেড়ে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন ৷ মনুর বাবা রাস্তাঘাটে পপকর্ন বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন । মা একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন । এমতাবস্থায় ইটিভি ভারতের খবর দেখে সকলে এই জাতীয় বক্সারকে সাহায্য করেছে এবং আজ মনু রেলে চাকরি করছেন ৷
আরও পড়ুন :