কলকাতা, 1 এপ্রিল: সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শেখ শাহজাহানকে পেশ করে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে ইডি ৷ সোমবার সকাল হতেই সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির তরফে প্রস্তুতি তুঙ্গে ৷ শনিবার, 30 মার্চ ইডি'র হাতে গ্রেফতার হয় শাসকশিবিরের এই প্রাক্তন দাপুটে নেতা ৷ এদিন সিবিআই হেফাজত শেষ হওয়ার পর শাহজাহানকে রাখা হয় বসিরহাটের উপ-মহকুমা সংশোধনাগারে ৷ সেখানে শনিবার তাকে জেরা করতে গিয়েছিল ইডি ৷ জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে ৷ শেষে শাহজাহানকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকরা ৷
তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডির তদন্তকারীরা জানতে পারেন, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে তাদের তরফে করা দু’টি ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট) রয়েছে ৷ একটি রেশন বণ্টন দুর্নীতি এবং আরেকটি বেআইনি ভাবে জমি দখল ও মাছ চাষ ৷ এমনকী মাছ আমদানি-রফতানির মাধ্যমে বিদেশে কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের মামলাও রয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ৷
ইডির দাবি, শেখ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আছে, তাতে 'প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ বা পিএমএলএ-র মামলাতেও তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ সন্দেশখালির একদা দাপুটে নেতা শেখ শাহাজাহানকে রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই ৷ পরে সিবিআই হেফাজত শেষে বসিরহাট মহকুমা আদালতে শেখ শাহাজাহানকে তুললে তাকে জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক ৷ কিন্তু সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় বসিরহাট সংশোধনাগারে থাকা শাহজাহানকে গ্রেফতার দেখিয়েছে (শোন অ্যারেস্ট) ইডি ৷
গত 5 জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালিতে পৌঁছয় ইডি ৷ সেখানে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গেলে বাধার মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ৷ তাঁদের উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা ৷ এমনকী রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটে ৷ এরপর থেকেই ফেরার হয়ে যায় শেখ শাহজাহান ৷ পরে 29 ফেব্রুয়ারি তার গ্রেফতারির খবর সামনে আসে ৷
আরও পড়ুন: