নয়াদিল্লি, 21 মার্চ: হোয়াটসঅ্যাপে 'বিকশিত ভারত' মেসেজ পাঠানো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে । আজ এই নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন । এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর কমিশন ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে এই নির্দেশ দিয়েছে ৷
কমিশন বলেছে, "এই পদক্ষেপটি সমান ভূমিতে লড়াইয়ের ক্ষেত্র নিশ্চিত করার জন্য কমিশনের নেওয়া কয়েকটি সিদ্ধান্তের একটি অংশ ৷" মন্ত্রণকের কাছে এ বিষয়ে কমপ্লায়েন্স রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে ।
ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক কমিশনকে জানিয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি চিঠি-সহ বার্তাগুলি 16 মার্চ মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট কার্যকর হওয়ার আগে পাঠানো হয়েছিল । তাদের দাবি, "... তাদের মধ্যে কিছু সম্ভবত সিস্টেমিক এবং নেটওয়ার্ক সীমাবদ্ধতার কারণে বিলম্ব প্রাপকদের কাছে বিতরণ করা হয়ে থাকতে পারে ৷"
নির্বাচন কমিশনে বেশ কয়েকটি অভিযোগে জানানো হয়েছিল যে, সাধারণ নির্বাচন 2024 ঘোষণার পর নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সরকারের উদ্যোগগুলি তুলে ধরে এই জাতীয় বার্তা এখনও নাগরিকদের ফোনে বিতরণ করা হচ্ছে ।
প্রসঙ্গত, 'বিকশিত ভারত' এর অন্তর্গত ভারত সরকারের তরফে এক প্রচারমূলক বার্তায় বিজেপি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প তুলে ধরে মানুষকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খোলা চিঠি পাঠানো হয়েছে । এই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে গত দশ বছরে সেই খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। এই বিষয়টিকে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনে তৃণমূল কংগ্রেস । এই বিষয়ে নালিশ জানিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ও তৃণমূল নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন চিঠি পাঠান জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ।
তিনি তাঁর চিঠিতে দাবি করেছিলেন যে, কমিশন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার পর নাগরিকদের মোবাইল নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ওই বার্তা পাঠানো হয় । এই বিষয়টি স্পষ্টতই নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লংঘনের দৃষ্টান্ত । তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, দলীয় প্রচারে সরকারি অর্থ এবং পদ ব্যবহার করা নিয়ম বহির্ভূত । তাই কমিশন যাতে প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন । তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেসও এই একই বিষয়ে নালিশ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশনে ৷
উল্লেখ্য, এর আগেও প্রধানমন্ত্রী ভোট প্রচারের জন্য বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বিধিভঙ্গ করেছিলেন বলে দাবি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস । এই নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল ।
আরও পড়ুন: