হাজারিবাগ, 28 জুন: নিটের প্রশ্নফাঁসের তদন্তে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে ভয়ে রয়েছেন ই-রিকশা চালক মনোজ ৷ তিনি ওড়িশার বাসিন্দা৷ কর্মসূত্রে হাজারিবাগে থাকেন ৷ ইটিভি ভারতের তরফে ই-রিকশা চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তবে ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি নন তিনি ।
তিনি জানান, তাঁর গাড়িকে নূতননগর থেকে বুক করা হয়েছিল । প্রশ্নপত্র বিতরণের জন্য তাঁকে 170 টাকা দেওয়া হয়েছিল । প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গাড়িতে কুরিয়ার সার্ভিসের এক কর্মী বসেছিলেন ৷ এছাড়া দু’জন বাইকে করে যাচ্ছিলেন ৷
প্রশ্নপত্র আনলোড করার সময় সিসিটিভিতে মনোজের গাড়ির নম্বর ধরা পড়ে । হাজারিবাগ ডিটিও অফিসের সহায়তায় সিবিআইয়ের হাতে চলে যায় তাঁর নম্বর । ডিটিও অফিস থেকে তাঁকে ফোন করা হয় ৷ পরে সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞসাবাদও করে ৷ কিন্তু সেই জিজ্ঞাসাবাদের জেরে তিনি এখন ভয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মনোজ ৷
কারণ, সিবিআই ই-রিকশা চালককে এতটাই জেরা করেছে যে তিনি খুব ভয় পেয়েছেন । তিনি বাড়িতে রয়েছেন ৷ কারও সঙ্গে দেখা করছেন না ৷ এমনকি তাঁর ই-রিকশাও চালাচ্ছেন না । ই-রিকশা চালক জানান, তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারও সঙ্গে কোনও কিছু শেয়ার না করার জন্য ।
এদিকে নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় হাজারিবাগে চারদিন ধরে তদন্ত করছে সিবিআই । সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা গত 50 ঘণ্টা ধরে ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষ এহসান উল হককে নিজেদের হেফাজতে রেখেছেন । বুধবার বিকেল 5টা নাগাদ অধ্যক্ষকে হেফাজতে নেয় সিবিআই ।
সিবিআই স্কুলের অধ্যক্ষ এহসান উল হককে তাঁর অফিসে নিয়ে যায় ৷ সেখানে তাঁকে 2 ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । শুক্রবার বেলা 11টা নাগাদ সিবিআই অধ্যক্ষ এহসান উল হককে নিয়ে রাঁচি রোডের দিকে চলে যায় । কিন্তু রামগড়ের আগেই গাড়িটি গেস্ট হাউসে ফেরত আসে ৷ তা নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের মেডিক্যাল চেকআপ হবে বলে আশা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু তা হয়নি ৷ উলটে শুক্রবার সকালে সিবিআই টিম বিভিন্ন পয়েন্টে তদন্ত করছে ।
হাজারিবাগে সিবিআইয়ের গাড়ি ক্রমাগত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছে । তবে এ বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি আসেনি । গতকাল, বৃহস্পতিবার দিনভর শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রমাণ খুঁজেছে সিবিআই ৷ তাছাড়া একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করেছে সিবিআই । সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।