ETV Bharat / bharat

29 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি প্রত্যাহার দিল্লি হাইকোর্টের - গর্ভপাত

Delhi High Court: 29 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷ মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট তার আগের আদেশ প্রত্যাহার করে নিল ৷ কারণ এইমস হাসপাতাল জানিয়েছে, যদি ভ্রূণকে 34 সপ্তাহ বা তার বেশি পর্যন্ত রাখা হয় তবে কোনও সমস্যা নেই ।

Delhi High Court
দিল্লি হাইকোর্ট
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 24, 2024, 7:41 AM IST

নয়াদিল্লি, 23 জানুয়ারি: মানসিক আবসাদে ভুগছেন এমন এক বিধবা অন্তঃসত্ত্বাকে 29 সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷ মঙ্গলবার আগের সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নিল আদালত ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে বিচারপতি এস প্রসাদের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার একটি পিটিশন দাখিল করে জানিয়েছিল, পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় থাকা সন্তানেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে ৷ সেই অধিকার রক্ষা করা উচিত। এইমস হাসপাতাল আদালতে জানিয়েছে, যদি ভ্রূণকে 34 সপ্তাহ বা তার বেশি পর্যন্তও রাখা হয় তবে কোনও সমস্যা নেই। এমতাবস্থায় ভ্রূণগুলি এখন থেকে আরও একই অবস্থায় 2 সপ্তাহ রাখা যেতে পারে। তাতে মহিলা এবং গর্ভস্থ শিশুর- কারও ক্ষতি হবে না। এরপর আদালত 4 জানুয়ারি দেওয়া অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় ।

প্রসঙ্গত, গত 4 জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট অন্তঃসত্ত্বাকে 29 সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। ওই মহিলার মানসিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ দেয় আদালত। আদালত জানিয়েছিল, ওই মহিলার মানসিক অবস্থা ভালো নয় । এমন অবস্থায় গর্ভধারণ ঠিক নয়। ওই মহিলার পক্ষে দায়ের করা আবেদনে বলা হয়, গর্ভবতী প্রচণ্ড মানসিক অবসাদে ভুগছেন। মহিলার তরফে আইনজীবী অমিত মিশ্র জানান, তাঁর মক্কেলকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল ৷ তবে ডাক্তাররা তাঁকে তাঁর সন্তানকে রাখতে বলেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে রাখতে বলা মানে ওই মহিলার গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করা।

এরপর শুনানির সময় আদালত বলেছিল, সুপ্রিম কোর্টও এমন পরিস্থিতিতে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে । আবেদনকারীর মানসিক অবস্থা পরিস্থিতিতে পরিবর্তন এনেছে। এর আগে 2023 সালের 30 ডিসেম্বর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এইসম-এর মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগকে মহিলার চেকআপ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এইমস তাদের রিপোর্টে বলেছিল, মহিলাটি দারুণ মানসিক অবসাদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আত্মঘাতী হওয়ার লক্ষ্মণও রয়েছে তাঁর মধ্যে। এমতাবস্থায় গর্ভবতী থাকা তাঁর জন্য বিপজ্জনক। মহিলার মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করার পর এইমস অন্তঃসত্ত্বার আত্মীয়দের তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করার নির্দেশ দেয়। এইমস-এর সাইকিয়াট্রি ওয়ার্ডে ভরতি রয়েছেন ওই মহিলা ।

উল্লেখ্য, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (এমটিপি) আইনে সংশোধনের পর নির্দিষ্ট বিশেষ পরিস্থিতিতে 24 মাস পর্যন্ত অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এর আগে এমটিপি আইনে অনুসারে 20 সপ্তাহ পার হয়ে গেলে অন্তঃসত্ত্বাকে আর গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হত না । পরে বিশেষ পরিস্থিতিতে 24 সপ্তাহ পর্যন্ত অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়ার জন্য এটি সংশোধন করা হয়।

আরও পড়ুন:

  1. লালসার শিকার কিশোরী 24 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা, গর্ভপাতের অনুমতি চাইল বম্বে হাইকোর্টের কাছে
  2. 26 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল না সুপ্রিম কোর্ট
  3. 26 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বার ভ্রূণে অস্বাভাবিকতা আছে ? দিল্লি এইমসের রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি, 23 জানুয়ারি: মানসিক আবসাদে ভুগছেন এমন এক বিধবা অন্তঃসত্ত্বাকে 29 সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷ মঙ্গলবার আগের সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নিল আদালত ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে বিচারপতি এস প্রসাদের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার একটি পিটিশন দাখিল করে জানিয়েছিল, পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় থাকা সন্তানেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে ৷ সেই অধিকার রক্ষা করা উচিত। এইমস হাসপাতাল আদালতে জানিয়েছে, যদি ভ্রূণকে 34 সপ্তাহ বা তার বেশি পর্যন্তও রাখা হয় তবে কোনও সমস্যা নেই। এমতাবস্থায় ভ্রূণগুলি এখন থেকে আরও একই অবস্থায় 2 সপ্তাহ রাখা যেতে পারে। তাতে মহিলা এবং গর্ভস্থ শিশুর- কারও ক্ষতি হবে না। এরপর আদালত 4 জানুয়ারি দেওয়া অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় ।

প্রসঙ্গত, গত 4 জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট অন্তঃসত্ত্বাকে 29 সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। ওই মহিলার মানসিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ দেয় আদালত। আদালত জানিয়েছিল, ওই মহিলার মানসিক অবস্থা ভালো নয় । এমন অবস্থায় গর্ভধারণ ঠিক নয়। ওই মহিলার পক্ষে দায়ের করা আবেদনে বলা হয়, গর্ভবতী প্রচণ্ড মানসিক অবসাদে ভুগছেন। মহিলার তরফে আইনজীবী অমিত মিশ্র জানান, তাঁর মক্কেলকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল ৷ তবে ডাক্তাররা তাঁকে তাঁর সন্তানকে রাখতে বলেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে রাখতে বলা মানে ওই মহিলার গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করা।

এরপর শুনানির সময় আদালত বলেছিল, সুপ্রিম কোর্টও এমন পরিস্থিতিতে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে । আবেদনকারীর মানসিক অবস্থা পরিস্থিতিতে পরিবর্তন এনেছে। এর আগে 2023 সালের 30 ডিসেম্বর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এইসম-এর মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগকে মহিলার চেকআপ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এইমস তাদের রিপোর্টে বলেছিল, মহিলাটি দারুণ মানসিক অবসাদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আত্মঘাতী হওয়ার লক্ষ্মণও রয়েছে তাঁর মধ্যে। এমতাবস্থায় গর্ভবতী থাকা তাঁর জন্য বিপজ্জনক। মহিলার মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করার পর এইমস অন্তঃসত্ত্বার আত্মীয়দের তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করার নির্দেশ দেয়। এইমস-এর সাইকিয়াট্রি ওয়ার্ডে ভরতি রয়েছেন ওই মহিলা ।

উল্লেখ্য, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (এমটিপি) আইনে সংশোধনের পর নির্দিষ্ট বিশেষ পরিস্থিতিতে 24 মাস পর্যন্ত অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এর আগে এমটিপি আইনে অনুসারে 20 সপ্তাহ পার হয়ে গেলে অন্তঃসত্ত্বাকে আর গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হত না । পরে বিশেষ পরিস্থিতিতে 24 সপ্তাহ পর্যন্ত অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়ার জন্য এটি সংশোধন করা হয়।

আরও পড়ুন:

  1. লালসার শিকার কিশোরী 24 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা, গর্ভপাতের অনুমতি চাইল বম্বে হাইকোর্টের কাছে
  2. 26 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল না সুপ্রিম কোর্ট
  3. 26 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বার ভ্রূণে অস্বাভাবিকতা আছে ? দিল্লি এইমসের রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.