নয়াদিল্লি, 8 এপ্রিল: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সরাতে যে আবেদনগুলি আদালতে জমা পড়ছে, সেগুলি আসলে প্রচার পাওয়ার জন্যই করা হচ্ছে ৷ এমনটাই মনে করেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ ৷ সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন তিনি ৷ মামলাটি তিনি দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন ৷
এই মামলাটি করেছেন আম আদমি পার্টির প্রাক্তন বিধায়ক সন্দীপ কুমার ৷ যেহেতু দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চে এই ধরনের মামলার শুনানি আগে হয়েছে, তাই বিচারপতি প্রসাদ এই মামলাটি ওই বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন ৷ তবে তার আগে তিনি এই মামলা নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ জানান ৷
বিচারপতি প্রসাদ বলেন, "এটি শুধুমাত্র প্রচারের জন্য করা হচ্ছে ৷ যেহেতু অনুরূপ বিষয়গুলি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দ্বারা তালিকাভুক্ত ও নিষ্পত্তি করা হয়েছে, তাই ওই বেঞ্চের সামনে এই আবেদনটি তালিকাভুক্ত করুন ৷ আমি হলে কড়া জরিমানা আরোপ করতাম ৷"
যদিও সন্দীপ কুমার তাঁর আবেদনে দাবি করেছেন যে দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল সংবিধান মেনে দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী থাকার অধিকার হারিয়েছেন ৷ জেল থেকে কেউ সরকার চালাতে পারেন না ৷ তাছাড়া সাংবিধানিক পদ্ধতিও এই ক্ষেত্রে জটিল হয়ে উঠেছে ৷ সেখানে সংবিধানের 239এএ(4) অনুচ্ছেদের উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আগামী 10 এপ্রিল এই মামলার শুনানি হবে ৷
গত 21 মার্চ ইডি গ্রেফতার করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৷ আপাতত তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন ৷ সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হবে আগামী 15 এপ্রিল ৷ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দাবি ওঠে ৷ ইতিমধ্যে দিল্লি হাইকোর্টে এই নিয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে ৷ দু’টোই খারিজ করে দেয় আদালত ৷ তার পর আরও একটা মামলা দায়ের হল ৷ এখন দেখার এই মামলার পরিণতি আগের দু’টির মতো হয় কি না !
(পিটিআই)
আরও পড়ুন: