নয়াদিল্লি, 2 অগস্ট: রাজেন্দ্র নগরে তিন ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ঘটনার গুরুত্বের পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের মধ্যে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে বলেই এমন সিদ্ধান্ত আদালতের। শুধু তাই নয়, আদালত সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)-কে সিভিল সার্ভিস প্রার্থীদের মৃত্যুর বিষয়ে সিবিআই তদন্তের তদারকির জন্য একজন সিনিয়র অফিসারকে মনোনীত করারও নির্দেশ দিয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় আদালত এদিন পুলিশ এবং দিল্লির মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এমসিডি)-এর তীব্র সমালোচনা করেছে ৷ কীভাবে শিক্ষার্থীরা সেই বেসমেন্টে আটকে পড়লেন এবং কেন সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি তার ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা দিতে পারেননি। একইসঙ্গে এদিন আদালত একাধিক প্রশ্ন তুলেছে, শিক্ষার্থীরা কেন বেরতে পারেননি তা জানতে চেয়েছে আদালত ? পাশাপাশি দিল্লি কর্পোরেশনের আধিকারিকরাও কেন এলাকার খারাপ স্টর্ম ড্রেন সম্পর্কে কমিশনারকে জানাননি, সেই প্রশ্নও করেছে হাইকোর্ট ৷
The High Court remarked that it would not be wrong to conclude that Delhi's civic agencies lack the necessary funds for major infrastructure projects. The court noted that much of Delhi’s physical infrastructure, such as drains, is outdated, having been laid nearly 75 years ago,…
— ANI (@ANI) August 2, 2024
এদিন দিল্লি হাইকোর্টের কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এমসিডি আধিকারিকরা এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন নন ৷ এটি তাঁদের একটি সাধারণ অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন শুনানিতে আদালত পুলিশেরও তীব্র সমালোচনা করেছে ৷ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, "ধন্যবাদ, বৃষ্টির জল বেসমেন্টে ঢোকার জন্য আপনারা চালান জারি করেননি ৷ আপনারা সেখানে গাড়ি চালানোর জন্য এসইউভি চালককে গ্রেফতার করেছিলেন।"
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আদালতকে জানান, যখন জল ওঠে, তখন সেখানে প্রায় 20 থেকে 30 জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। হঠাৎ করেই খুব দ্রুত জল চলে আসে ৷ এরপরই সেখানকার লাইব্রেরিয়ান পালিয়ে যান। অনেক পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও জলের প্রবাহ এতটাই প্রবল ছিল যে কাচও ভেঙে যায়। একাধিক টেবিলের কারণে প্রার্থীদেরও যেতে অসুবিধা হয়।