চণ্ডিগড়, 19 ফেব্রুয়ারি: মধ্যরাত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলির নেতৃত্বের বৈঠক হয়েছে ৷ সেখানে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও কৃষকদের অন্যান্য দাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ৷ সেই প্রস্তাবগুলি মানা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে কৃষক সংগঠনগুলি ৷ কিন্তু, কৃষকদের 'দিল্লি চলো' অভিযান থেমে থাকবে না, বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ৷ কারণ, গতকাল চতুর্থ দফা আলোচনার পরেই, পঞ্জাব কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রবণ সিং পান্ধের একথা জানিয়েছেন ৷
এ নিয়ে পান্ধের বলেন, "আগামী দু’দিন আমরা সরকারের দেওয়া প্রস্তাবগুলি নিয়ে আলোচনা করব ৷ অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়েও সরকার বিবেচনা করবে ৷ তবে, এই আলোচনা থেকে কোনও ফলাফল না বেরলে, আমরা 21 ফেব্রুয়ারি থেকে 'দিল্লি চলো' অভিযান ফের শুরু করব ৷" উল্লেখ্য, গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত চণ্ডীগড়ে আন্দোলনকারী কৃষক নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক হয় ৷ সেই বৈঠক শেষে পান্ধের সংবাদ মাধ্যমের সামনে একথা জানিয়েছেন ৷ তবে, তিনি এও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবং কৃষক সংগঠনগুলি এই সমস্যার সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে ৷
তবে, কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাবের উপর সিদ্ধান্ত কবে জানাবে কৃষক সংগঠনগুলি, তা নিশ্চিত করেননি শ্রবণ সিং পান্ধের ৷ তিনি বলেন, "আমরা সরকারের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করব ৷ তার উপর মতামত নেওয়া হবে বাকিদের ৷ সেই মতো সিদ্ধান্ত আজ সকালে, সন্ধেয় বা আগামিকালও জানানো হতে পারে ৷ মন্ত্রীরা জানিয়েছেন তাঁরা দিল্লি ফিরে আমাদের অন্যান্য দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন ৷ এই আলোচনা 19-20 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ৷ আর 'দিল্লি চলো' অভিযান শুরু হবে 21 ফেব্রুয়ারি ৷ সেটা নির্ভর করছে এই আলোচনার ফলাফলের উপর ৷ আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করছি ৷"
এদিকে কৃষক নেতা জগজিৎ সিং দালেওয়াল সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছে তাদের ৷ সেই প্রস্তাবে কৃষক সংগঠনগুলি সম্মতি দিলে, তা কেন্দ্রের দু’টি সংস্থা তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করবে ৷ তবে, এই প্রস্তাবে সকলে সহমত না হলে, তারা দিল্লি অভিযান জারি রাখবে ৷ তবে, সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথ কৃষক নেতারা খোলা রাখছেন ৷
আরও পড়ুন: