ভুবনেশ্বর, 20 এপ্রিল: ওড়িশায় ঝাড়সুগুডায় নৌকাডুবির ঘটনায় তলিয়ে যাওয়া 7 জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হল উদ্ধারকারীরা ৷ শুক্রবার 2 জনের দেহ উদ্ধারের পর শনিবার সকালে নিখোঁজ সকলেরই দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক আগেই মৃতদের পরিবারবর্গকে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী পট্টনায়েক শুক্রবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং এসআরসিকে উদ্ধারকাজে তৎপরতা বাড়াতে এবং নিখোঁজদের দ্রুত উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে পাঁচ জন স্কুবা চালক ও দুটি সার্চ ক্যামেরাও পাঠানো হয়েছিল মৃতদেহগুলি উদ্ধারের জন্য। নৌকাডুবির ঘটনার খবর পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক নিহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। সেইসঙ্গে তিনি মৃতের আত্মীয়দের জন্য চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করেছেন ৷
অন্যদিকে, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য শুক্রবার জেলা প্রশাসনকেও নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আরডিসি, ঝাড়সুগুডা জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্দারকাজে তদারকি করে বলে খবর। নৌকার যাত্রীরা সবাই ছত্তিশগড়ের খারসেনি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
নৌকাডুবির পর প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, ওডিশার ঝাড়সুগুডায় নৌকা ডুবে যাওয়ার পর 35 বছর বয়সী এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ৷ পাশাপাশি তিন শিশু-সহ আরও কয়েকজনের নিখোঁজ থাকার কথা জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও একজনের দেহ মেলে ৷ শুক্রবার মহানদীতে যখন এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে সেই সময় 50 জনেরও বেশি যাত্রী সওয়ার ছিলেন নৌকায়। ঘটনার পর প্রায় 40 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঝাড়সুগুডার জেলাশাসক কার্তিকেয় গয়াল বলেন, "ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি, ভুবনেশ্বর থেকে স্কুবা ডাইভাররা আসছেন ৷ এখন পর্যন্ত আমরা অনেককেই উদ্ধার করতে পেরেছি ৷ বাকিদের খোঁজ চলছে ৷"
আরও পড়ুন: