ফতেপুর, 4 সেপ্টেম্বর: লালৌলি এলাকায় চরম নির্যাতনের শিকার দলিত মহিলা ৷ দুই যুবকের বিরুদ্ধে পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ করেছেন তিনি ৷ অভিযোগ, গণধর্ষণ করে ওই মহিলাকে মারধর করা হয় । আর তাঁর জেরে মহিলার একটি হাত ভেঙে গিয়েছে। অভিযুক্তরা ওই মহিলাকে একটি খালের ধারে টেনে নিয়ে যায় ৷ এরপর তাঁকে নেশাজাতীয় পানীয় খাইয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত 31 অগস্ট এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, লালৌলি থানা এলাকার গ্রামের ওই মহিলা সকালে ক্ষেতে যাচ্ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, আবালা এবং তার ভাই পাপ্পু ঝোপের মধ্যে বসে ছিল। মহিলা সেই ঝোপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা তাঁর উপর অতর্কিত হামলা চালায় ৷ এমনকী তাঁকে ধরে টেনে-হিঁচড়ে টেনে নিয়ে যায়। ওই মহিলা প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে মহিলার হাত ভেঙে যায় ৷ এরপর তারাই ওই মহিলাকে জোর করে মদ্যপান করায় ৷ তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করে দুই যুবক।
রাত 9টা নাগাদ জ্ঞান ফেরে মহিলার ৷ এরপর কোনওরকমে তিনি বাড়িতে পৌঁছন। বাড়িতে তাঁর স্বামীকে সবটা খুলে জানান ৷ নৃশংসতার কথাও সবিস্তারে বলেন। পরে ওই মহিলাকে নিয়ে বহুয়া থানায় নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। এখানে পুলিশকে পুরো ঘটনা বলার পাশাপাশি একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়। পুলিশ অবশ্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ।
পরপর তিন দিন পুলিশের কাছে যান ওই নির্যাতিতা। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় শেষে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে বিচারের আর্জি জানান তিনি। এসপির নির্দেশে পুলিশ তৎপর হয় ৷ অভিযুক্ত যুবকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ৷ গ্রেফতার হয় দু'জন ৷ গোটা ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার ধওয়াল জয়সওয়াল জানান, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ অভিযুক্ত দুই যুবককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।