নয়াদিল্লি, 25 মার্চ: ছাত্র সংসদ ভোটে এবিভিপিকে 4-0 ব্যবধানে দুরমুশ করে ফের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ দখল বামেদের ৷ ছাত্র সংসদ ভোটে সভাপতি (প্রেসিডেন্ট) পদে জয়ী হয়েছেন দলিত নেতা ধনঞ্জয়। 1996 সালের পর থেকে এই প্রথম কোনও দলিত নেতাকে বসানো হল ওই পদে ৷ সহসভাপতি (ভাইস প্রেসিডেন্ট) পদে জয়ী হয়েছেন অভিজিৎ ঘোষ ৷ সাধারণ সম্পাদক (জেনারেল সেক্রেটারি) পদে জয়ী হয়েছেন প্রিয়ংশী আর্য ও যুগ্ম সম্পাদক (জয়েন্ট সেক্রেটারি) হয়েছেন মহম্মদ সাজিদ ৷
30 বছর পর জেএনইউ ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ধনঞ্জয় ৷ কী তাঁর পরিচয়?
- ধনঞ্জয় বিহারের গয়ার বাসিন্দা।
- তিনি জেএনইউ-এর স্কুল অফ আর্টস অ্য়ান্ড অ্যাসথেটিক্স বিষয়ের পিএইচডি পড়ুয়া।
- 1996-97 সালে এই পদে বসেছিলেন বাত্তি লাল বারিওয়া। তিনিও ছিল বাম ছাত্র নেতা। এরপর এতদিন পদে আবার কোনও দলিত ছাত্র নেতা বসলেন ওই পদে।
- গয়ার বাসিন্দা ধনঞ্জয় পেয়েছেন 2598 ভোট ৷ প্রতিদ্বন্দ্বী এবিভিপির প্রার্থী উমেশ সি আজমিরা পেয়েছেন 1676 ভোট।
- এবারের প্রচারে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয় সামনে এনেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উচ্চশিক্ষায় ফান্ডিং, এজেন্সি লোন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ক্যাম্পাসে জল, স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত নানা সুবিধাকে আরও বৃদ্ধি করার দাবি তিনি তোলেন।
গতকাল জয়ী হওয়ার পর সংবাদসংস্থা পিটিআই'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ধনঞ্জয় বলেন, "এই জয় জেএনইউ-এর ছাত্রদের গণভোট ৷ যে তাঁরা ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ছাত্ররা আবারও আমাদের উপর তাদের আস্থা দেখিয়েছে। আমরা তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। ছাত্রদের যে যে বিষয়ে সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে কাজ করব ৷"
1969 সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বামদুর্গ হিসেবেই পরিচিত দিল্লির ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়। জেএনইউ-তে SFI অর্থাৎ CPI (M)-এর ছাত্র সংগঠনের প্রভাব বরাবরই বেশি। 22 বার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেম এসএফআই প্রার্থীরা। পাশাপাশি 11 বার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন AISA প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: