চণ্ডীগড়, 31 অগস্ট: বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে খুন করা হল হরিয়ানায় ৷ ঘটনায় চরখি দাদরি জেলার পুলিশ এক নাবালক-সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। পশ্চিমবঙ্গের এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে । এমনটাই দাবি পুলিশের। শনিবার পুলিশের এক আধিকারিকের মতে, সাবির মালিককে গত 27 অগস্ট পিটিয়ে খুন করা হয়। ওই পুলিশ আধিকারিকের আরও দাবি, গরুর মাংস খেয়েছেন এই সন্দেহেই ওই শ্রমিককে পিটিয়ে খুন করা হয় ৷
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং ৷ গরুর মাংস খাওয়ার সন্দেহে চরখি দাদরিতে গণপিটুনির ঘটনায় কথা বলতে গিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি বলেন, "আমরা গো-সুরক্ষার জন্য আইনও করেছি।" গণপিটুনির ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেন, "এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত ৷ একেবারেই কাঙ্খিত নয় ৷ আর যেন না ঘটে সেটা দেখতে হবে।"
অসমের বারপেটার বাসিন্দা সুজাউদ্দিন সর্দার পুলিশে অভিযোগে দায়ের করে জানিয়েছেন, তিনি বাধরা গ্রামের একটি বস্তিতে থাকেন ৷ মূলত আবর্জনা সংগ্রহের কাজ করেন। এই সুজাউদ্দিনের বোন সাকিনা সর্দারের স্বামী সাবির মালিক ৷ তাঁর সঙ্গেই থাকতেন সাবির। সুজাউদ্দিনের অভিযোগ, কিছু ছেলে সাবির মালিকের কাছে এসে তাঁকে জানায়, তাদের জাঙ্ক আইটেম দিতে হবে ৷ বাসস্ট্যান্ডে আসতে হবে বলেও জানায় তারা ৷ অভিযোগ, সেই ছেলেদের কথা শুনে সাবির মালিক সেখানে যান ৷ অসমের বরপেটার আরও এক বাসিন্দা আছিরুদ্দিনকেও সেখানে ডাকা হয় বলে দাবি সুজাউদ্দিনের ।
অভিযোগ, এরপর সেখানে চার থেকে পাঁচ জন ছেলে সাবিরকে ঘিরে ধরে মারধর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর সাবির মালিক ও আছিরুদ্দিনকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় ৷ যার ভিডিয়োও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা গোরক্ষা গোষ্ঠীর সদস্য। এই মারধরের সময় সাবির মালিকের মৃত্যু হয় ৷ অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুরো ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই নাবালক-সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
পুলিশ জানিয়েছে, সাবির মালিক চরখি দাদরি জেলার বাধাদা গ্রামের কাছে একটি বস্তিতে থাকতেন ৷ জীবিকা নির্বাহের জন্য আবর্জনা সংগ্রহের কাজ করতেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুই নাবালিকা-সহ সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিএনএস-এর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।