কানপুর, 15 ফেব্রুয়ারি: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য অশান্তির জেরে মর্মান্তিক পরিণতি হল দু'জনেরই ৷ স্ত্রীকে দরজা বন্ধ করে আটকে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল স্বামী ৷ এদিকে স্ত্রী কোনওভাবে দরজা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে চলে আসে ৷ তার গায়ে আগুন জ্বলছিল ৷ সেই সময় তিনি স্বামীকে জড়িয়ে ধরেন ৷ দু'জনের শরীরের অনেকাংশে পুড়ে গিয়েছে ৷ স্বামী-স্ত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ঘটমপুর জেলার ৷ ঘটমপুরের এসিপি রঞ্জিত কুমার জানিয়েছেন, প্রবীণ কুমার ওরফে রাজু পেশায় শ্রমিক ৷ সে রাইপুর গ্রামে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায় ৷ 12 বছর আগে চুন্নির সঙ্গে তার বিয়ে হয় ৷ দম্পতির 10 বছরের একটি পুত্র সন্তান এবং দু'টি শিশুকন্যা রয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর আনুমানিক 3টের সময় প্রবীণ ওরফে রাজুর সঙ্গে চুন্নির বচসা বাধে ৷ এই সম প্রচণ্ড রেগে গিয়ে প্রবীণ ঘরে রাখা আবর্জনায় আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ ঘরের মধ্যেই চুন্নি ছিল ৷ এই অবস্থায় প্রবীণ ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় ৷ এদিকে চুন্নির চিৎকার শুনে সন্তানরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকে ৷ তখন শিশু সন্তানদেরও মারধর করে বাবা প্রবীণ ৷
এই সময় চুন্নি কোনওভাবে দরজা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসে ৷ তখন তাঁর গায়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল ৷ ওই আগুন লাগা অবস্থাতেই চুন্নি তাঁর স্বামীকে জড়িয়ে ধরে ৷ এর ফলে সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর গায়ের আগুন স্বামী প্রবীণের গায়েও ছড়িয়ে পড়ে ৷
চিৎকার-চ্যাঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে যায় ৷ তারা পুলিশকে খবর দেয় ৷ পুলিশ স্বামী-স্ত্রীকে ঘটমপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে ৷ কিন্তু দু'জনেরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের হ্যালেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে চুন্নির শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে ৷ তখন তাঁকে লখনউ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ ঘটমপুর এসিপি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: