নয়াদিল্লি, 11 মে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রাহুল গান্ধি। দিন কয়েক আগে এক প্রবীণ সাংবাদিক ও দুই প্রাক্তন বিচারপতি মোদি এবং রাহুলকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। এর উত্তরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাজীব-তনয় জানান, কংগ্রেস এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করছে। তাঁর মতে, একটি স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের জন্য আলোচনা সবসময় ভালো। আলোচনা হলে সমস্ত পক্ষ নিজেদের কথা তুলে ধরার সুযোগ পায়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীও এই আলোচনায় অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাহুল।
ঘটনার সূত্রপাত, এই মাসের শুরুর দিকে। দ্য হিন্দু পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক এন রাম, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন লকুর এবং দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এপি শাহ এই দুই নেতাকে চিঠি লিখে বিতর্কে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁদের দাবি ছিল, এই বিতর্ক সভার কোনও বাণিজ্যিক দিক থাকবে না। পাশাপাশি থাকবে না কোনও বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রভাবও।
এই তিন নেতাকে জবাব দিয়ে রাহুল শুরুতেই লিখেছেন, "আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।" এরপরই তিনি জানান, বৈঠকে বসার প্রস্তাব নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের। তাঁদের দু'জনেরই মনে হয়েছে, এভাবে বৈঠকে বসা গণতন্ত্রের দিক থেকে ভালো। তাছাড়া দুই নেতাকে এভাবে খোলাখুলি আলোচনায় বসতে দেখলে ভোটারদেরও মতামত তৈরি করতে সুবিধে হবে। তাঁরা বুঝতে পারবেন, ঠিক কী কারণে এবং কাকে ভোট দেওয়া তাঁদের পক্ষে ভালো। একইসঙ্গে এই ধরনের আলোচনায় প্রত্যেকেরই সুযোগ থাকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের জবাব দেওয়ার। আর তাই এই ধরনের কোনও আলোচনা সভার আয়োজন হলে সেখানে হয় রাহুল না হয় মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখোমুখি হতে প্রস্তত।
যুযুধান প্রতিপক্ষের এভাবে বিতর্কে বসার রেওয়াজ এ দেশে নেই । তবে আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশে নির্বাচনের আগে এই ধরনের বিতর্ক সভার আলোচনা হয়ে থাকে। আমেরিকার ক্ষেত্রে প্রধান দুটি দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা মুখোমুখি হন । দেশের জন্য কী করতে চান জানান। পাশাপাশি একে অপরের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগেরও জবাব দেন । দুনিয়ার সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রে এমন কিছু হবে কি না তা সময় বলে দেবে।
আরও পড়ুন: