নয়াদিল্লি, 24 এপ্রিল: লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় দফার 48 ঘণ্টা আগে চাপে কংগ্রেস ৷ স্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার সম্পত্তি কর’ মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই আক্রমণের পথে নেমেছে বিজেপি ৷ কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তারপরেই ভারতীয় ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারপার্সনের মন্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল হাত-শিবির ৷
কংগ্রেসের ‘সম্পদ পুনর্বন্টন’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে ৷ তার মধ্যেই তাতে কার্যত ঘি ঢেলেছে স্যাম পিত্রোদার মন্তব্য ৷ একটি সাক্ষাৎকারে পিত্রোদা বলেন, ‘‘উত্তরাধিকার কর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ৷ এটি একটি আকর্ষণীয় ধারণা ।’’ মার্কিন মুলুকের কিছু রাজ্যের উত্তরাধিকার করের ধারণা ব্যাখ্যা করে পিত্রোদা বলেন, ‘‘কারও 100 মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে ৷ যখন তিনি মারা যান তখন সম্ভবত 45 শতাংশ তাঁর সন্তানদের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন ৷ 55 শতাংশ সরকার দখল করে নেয় ৷ এই আইন বলে যে আপনি সম্পদ তৈরি করেছেন ৷ আপনি চলে যাওয়ার (প্রয়াত হওয়ার) সময় অবশ্যই আপনার সম্পদ জনগণের জন্য ছেড়ে দিতে হবে ।’’
বিহারের কাটিহার লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির প্রাক্তন সদস্য তারিক আনোয়ার ইটিভি ভারতকে বলেন, “এগুলি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত । দলের দৃষ্টিভঙ্গি নয়। আমরা সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে এবং আমাদের ইস্তাহারে এটির জন্য 25টি গ্যারান্টি দিয়েছি । বিজেপি আমাদের ইস্তাহার নিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে ৷’’
এর আগে 2019 লোকসভা ভোট চলাকালীনই 1984 সালের শিখ হিংসা নিয়েও দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন পিত্রোদা ৷ নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, "1984-র শিখ হিংসা প্রসঙ্গে নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির নির্দেশেই শিখদের নির্বিচারে হত্যা করা হয় ।" এর জবাবে কংগ্রেস নেতা বলেন, "1984 সালে যদি কিছু হয়ে থাকে, তবে হয়েছে তো হয়েছে । তাতে কী ?" পাঁচ বছর পরেও তাঁকে নিয়েই হট্টগোল হাত-শিবিরে ৷
আরও পড়ুন: