নয়াদিল্লি, 4 জুন: সরকার গঠন নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন রাহুল গান্ধি থেকে শুরু করে মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। তাঁদের দাবি, ইন্ডিয়া জোটের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেই সরকার গঠন প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান ঠিক করবে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর মঙ্গলবার দলের সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন এবং বর্তমান সভাপতি। শুরুতেই দেশের প্রাচীনতম দলের প্রথম দলিত সভাপতি বলেন, "এই ফল থেকে বোঝা যাচ্ছে দেশ মোদির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে । এই রায় থেকে আরও বোঝা গিয়েছে, মোদির নৈতিক হার হয়েছে। কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল । এমনই কঠিন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে আমরা লড়েছিলাম।" প্রায় একই সুরে রাহুল বলেন, " দেশের গরিব মানুষ সংবিধান রক্ষার লড়াই করেছেন। আমরা তাঁদের ধন্যবাদ দিতে চাই।"
লোকসভা নির্বাচনের সব খবর পড়ুন এখানে
গতবারের লোকসভা নির্বাচন থেকে প্রায় দ্বিগুণ আসন জিতেছে কংগ্রেস। স্বভাবতই এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে কংগ্রেস নেতাদের। ফল আগের থেকে ভালো হলেও কাজ যে শেষ হয়ে য়ায়নি তা ভালোই জানে কংগ্রেস । দলের সভাপতিকে বলতে শোনা য়ায়, "আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি । সংবিধান বাঁচাতে এবং দেশের সীমান্তকে সুরক্ষিত করার লড়াই চলবে। আগামিদিন সংসদ যাতে ভালোভাবে চলে তার জন্যও আমাদের লড়াই চলবে। মানুষের জন্য যা প্রয়োজন তা নিয়ে যাতে আলোচনা হয় আমরা সেটা নিশ্চিত করব।"
কংগ্রেসের লড়াই যে ঠিক কতটা কঠিন ছিল তা জানিয়েছেন রাহুলও। নিজের বক্তব্যের শুরুতেই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, " এই নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট আর কংগ্রেস কোনও একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লড়েনি। ইডি-সিবিআই থেকে শুরু করে দেশের বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে লড়েছি। নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অমিত শাহ এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ভয় দেখিয়েছেন। আমাদের লড়াই ছিল সে সবের বিরুদ্ধে। তাই এই লড়াই আসলে ছিল সংবিধান বাঁচানোর লড়াই।"
এরপর নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করা নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাহুল। তিনি বলেন, " ভোটের আগে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করা হয়েছিল। একাধিক মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেদিন আমার মনে হয়েছিল দেশ সংবিধানকে বাঁচাতে লড়বে । সেটা সত্যি হল। সংবিধান বাঁচানোর দিকে প্রথম পদক্ষেপ।"