শ্রীনগর, 18 অক্টোবর: এক দশক পর নির্বাচন হয়েছে উপত্যকায় ৷ সরকার গঠন করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৷ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ওমর আবদুল্লা ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কথা দিয়েছিলেন, সরকারে ফিরলে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর সেই পথেই এগোলেন ওমর ৷
সূত্র মারফৎ ইটিভি ভারত জানতে পেরেছে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নবনির্বাচিত সরকার গঠনের পর প্রথম বৈঠকে রাজ্যের মর্যাদা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করেন তিনি ৷ সূত্রের খবর, পাঁচ মন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দেন ৷ তারপরই সেই প্রস্তাব পাস করা হয় ৷
Apparently the cabinet has passed a resolution on statehood. This is as per the headlines of an authentic newspaper based out of Jammu.
— Sajad Lone (@sajadlone) October 18, 2024
In wonderment why should a resolution on statehood passed by the cabinet be shrouded in mystery and secrecy — that only one newspaper…
এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের জন্য দিল্লি যাবেন ওমর ৷ উল্লেখ্য, 2019 সালে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন ওমর আবদুল্লা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা ও হাসনাইন মাসুদি ৷ সেই বৈঠকের পর এই প্রথম প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন ওমর আবদুল্লা ৷ ইতিমধ্যেই, এই সংক্রান্ত একটি খসড়াও প্রস্তুত করে নিয়েছেন উপত্যকার নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর ৷ যদিও, সরকারিভাবে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি এখনও ৷
Apparently the cabinet has passed a resolution on statehood. This is as per the headlines of an authentic newspaper based out of Jammu.
— Sajad Lone (@sajadlone) October 18, 2024
In wonderment why should a resolution on statehood passed by the cabinet be shrouded in mystery and secrecy — that only one newspaper…
2019 সালে 5 অগস্ট 370 ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ৷ ফলে বিশেষ মর্যাদা উঠে যায় জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে ৷ এমনকী, রাজ্যের তকমাও হারায় উপত্যকা ৷ পরিবর্তে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ, দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয় ৷ অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দেন, সঠিক সময়ে ফের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু-কাশ্মীরকে ৷
এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেন শিক্ষাবীদ জাহুর আহমদ এবং খুরশিদ মালিক ৷ তাঁদের সেই আবেদন শোনা হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ তবে, নবনির্বাচিত সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা ৷ দ্য পিপলস্ ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং সাজাদ লোনের দল পিপলস্ কনফারেন্সের দাবি, ওমর আবদুল্লার এই পদক্ষেপ 2019 সালে কেন্দ্রের গৃহীত সিদ্ধান্তরই পুনরাবৃত্তি ৷
তাঁদের দাবি, নির্বাচনী ইস্তাহারে ন্যাশনাল কনফারেন্স রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার এবং 370 ধারা তথা বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর কথা বলেছিল ৷ এমনকী, নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে 370 ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করার ঘোষণা করেছিলেন । কিন্তু নির্বাচনের পর বদলে গিয়েছে বিষয়টি ৷
বিরোধীদের লুকিয়ে এই প্রস্তাব পাস করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাজাদ লোন ৷ তাঁর কথায়, "এভাবে সকলকে আড়াল করে কেন প্রস্তাব গ্রহণ করা হল !" তাঁর দাবি, "সাধারণ মানুষের মতামত ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয় মন্ত্রিসভায় নয় ৷ তাদের নির্বাচিত প্রার্থী বিধানসভায় রয়েছেন ৷ সুতরাং, রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের বিষয়টি বিধানসভায় আলোচনা করা উচিত ৷ মন্ত্রিসভায় নয় ৷"